অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭-০ গোলে হারল বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গোল কম হজম করাই লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু মাঠে লড়াইয়ের ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। উল্টো ভেসেছে গোলবন্যায়, ফিরিয়েছে ৩০ বছর আগের পুরোনো স্মৃতি।
বিশাল পরাজয় দিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু করেছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৭-০ গোলে হেরেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। এনিয়ে চতুর্থবার প্রতিপক্ষের কাছে সাত গোল হজম করলো বাংলাদেশ। সবশেষ ৩০ বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৭-০ গোলে হেরেছিল তারা। যদিও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পরাজয় ৯-০ গোলে। ১৯৭৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ও ১৯৮২ সালে ইরানের একই ব্যবধানে হেরেছিল লাল-সবুজ পতাকাধারীরা। এছাড়া ১৯৭৫ সালে হংকংয়ে কাছে হারে ৯-১ ব্যবধানে।
গোল উৎসবের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আজ হ্যাটট্রিক করেন জ্যামি ম্যাকলারেন। রেক্টাঙ্গুলার স্টেডিয়ামে ম্যাচের চার মিনিটেই পিছিয়ে পরে বাংলাদেশ। বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি কিক পায় অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিগ গুডউইনের ফ্রি কিক থেকে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন হ্যারি সুটার। প্রায় সাড়ে ছয় ফুট উচ্চতার এই ফুটবলারের হেড ঠেকানোর মতো কেউই ছিলেন না। বলের দিকে কেবল তাকিয়েই ছিলেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমা।
টানা আক্রমণে বাংলাদেশের রক্ষণের কঠিন পরীক্ষাই নিচ্ছিলেন সকারুরা। এর ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ২০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে । লুইস মিলারের ক্রস পেয়ে যান কনর মেটকালফে বক্সের ভেতর তার ক্রস থেকে প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান ব্রেন্ডন বোরেল্লো।
৩৭ মিনিটে মেটকালফের ক্রসে হেড থেকে দলকে এগিয়ে দেন মিচেল ডিউক। তিন মিনিট পরেই রিবাউন্ড বলে গোল করে ব্যবধান ৪-০ করেন তিনি।
প্রথমার্ধেই বড় ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধেও সেই একই গল্প। খেলা শুরুর আগে তিন খেলোয়াড়কে বদলি করে অস্ট্রেলিয়া। বদলি হয়ে নামার তিন মিনিটের মধ্যেই বাংলাদেশের জালে বল ফেলেন ম্যাকলারেন।
এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচ হারল বাংলাদেশ। ২০১৮ বিশ্বকাপের বাছাইয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৯ গোল হজম করে হেরেছিল তারা। আগামী ২১ নভেম্বর বাছাইয়ের পরের ম্যাচে কিংস অ্যারেনায় লেবাননের বিপক্ষে খেলবেন জামাল ভুঁইয়ারা।