আগস্টে ৪৫৭৫টি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী
অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে চলতি বছর আগস্টে ১১৩৪টি অভিযান পরিচালনা করে ৪৫৭৫টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ৪১.৪২ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সদস্য নাসরিন জাহান রত্নার এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এ দিনের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার ও অপচয় রোধকল্পে নানামুখী কর্মসূচি এবং বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার রোধে লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, বিজ্ঞাপন (বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায়), স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় সভা-সেমিনার আয়োজন, বিভিন্ন ধরনের মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্যাসের সঠিক ব্যবহার, অবৈধ সংযোগ গ্রহণের ঝুঁকি, পরবর্তীতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা এবং গ্যাস আইন-২০১০ অনুযায়ী শান্তির বিধান সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ রোধে প্রত্যেক গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স টিম ও আঞ্চলিক পরিদর্শন টিমের সংখ্যা বৃদ্ধি করে কার্যক্রম জোরদার করা এবং স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধির সহায়তায় এ কার্যক্রমকে অধিকতর বেগবান করা হয়েছে। অধিকন্তু, অবৈধ গ্যাস ব্যবহার রোধকল্পে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের দায়ে বিচ্ছিন্নকৃত গ্রাহক/গ্যাস ব্যবহারকারীর নাম, ঠিকানা পরিচিতি মিডিয়ার মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে প্রকাশ এবং পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের অপচয় রোধে জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্যাপটিভ পাওয়ার শ্রেণিভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে কো-জেনারেশন/ট্রাই-জেনারেশনের মাধ্যমে জ্বালানি দক্ষতা ন্যূনতম ৭০ শতাংশ বজায় রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া ‘গ্যাস বিপণন নিয়মাবলী ২০১৪’ অনুযায়ী বয়লারের ন্যূনতম দক্ষতা ৮২ শতাংশ করার নির্দেশনা রয়েছে। গৃহস্থালি পর্যায়ে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় রোধে ও জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত মোট ৪,৪৯,০০০টি প্রি-পেইড মিটার গ্রাহক আঙ্গিনায় স্থাপন করা হয়েছে। অন্যান্য গৃহস্থালি গ্রাহকদের পর্যায়ক্রমে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের প্রকল্প চলমান আছে।
নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাস বিতরণ পাইপলাইনে লিকেজ হলে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর নির্দিষ্ট জরুরি নম্বরে জানালে যুক্ত লিকেজ মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, বাণিজ্যিক ও গৃহস্থালি গ্রাহকদের জ্বালানি সাশ্রয়ী বার্নার ব্যবহারে উৎসাহিতকরণে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগস্ট মাসে পেট্রোবাংলার আওতাধীন ৬টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির মাধ্যমে মোট ১১৩৪টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। একই সময়ে মোট ৪৫৭৫টি সংযোগ এবং ২৬৬৬৭টি বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও আগস্ট মাসে ৪১.৪২ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।