চট্টগ্রাম

আগামী সপ্তাহে উন্মুক্ত হবে কালুরঘাট সেতুর ওয়াকওয়ে

যান চলাচলের জন্য সংস্কারাধীন রেলওয়ে কালুরঘাট সেতুতে চলছে কার্পেটিংয়ের কাজ। গত ৫ দিনে সেতুর ১৯টি স্প্যানের মধ্যে ৫টি স্প্যানে ইতিমধ্যে কার্পেটিং হয়েছে।

এর আগে বিশেষ প্রযুক্তিতে কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ শেষ করে সেতু সংস্কার কাজে নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত বুধবার (৫ জুন) থেকে সেতুতে যান চলাচলের জন্য সেতুর সড়ক পথে কার্পেটিং কাজ শুরু হয়। যা গত পাঁচদিনে ৫টি স্প্যানে এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশলীরা। এই কাজ শেষ হলে যানবাহন পারাপারের জন্য সেতু উন্মুক্ত করা হবে।

সেতুর ডানপাশে নবনির্মিত ওয়াকওয়ের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় মানুষজন পায়ে হেঁটে পাড়ি দিচ্ছেন ৬৩৮ মিটারের এই সেতু। ফেরির দুর্ভোগ এড়াতে সেতু দিয়ে হেঁটে পারাপার করছেন বলে জানিয়েছেন পথচারীরা।

কলেজ শিক্ষার্থী সীমা ধর বলেন, ফেরির বেইলি ব্রিজ জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকে। ফলে ফেরিতে উঠানামা করতে জামা কাপড় ভিজে যায়। কলেজে ভেজা কাপড়ে যেতে অস্বস্তি লাগে। এতো লম্বা সেতু হেঁটে পাড়ি দিতে কস্ট হলেও অনেক ভালো।

এই ওয়াকওয়ে আগামী সপ্তাহে পবিত্র ঈদুল আজহা (কোরবানি) ঈদের আগে অফিসিয়ালিভাবে পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত করার কথা জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, সেতুটিকে যান চলাচলের উপযোগী করতে বুয়েটের পরামর্শক দলের পরামর্শ অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিশেষ প্রযুক্তিতে কংক্রিটের ঢালাইয়ের কাজ শেষ করেছে। যাতে বৃষ্টি ও শিশিরের পানি জমে রেললাইনের লোহার পাত ক্ষয়ে না যায়। এখন কার্পেটিং করা হচ্ছে। এটি টেকসই করার জন্য কিছুটা সময় নিয়ে করতে হচ্ছে। তিনি জানান, কয়েক ধাপে চলমান সংস্কার কাজের ওয়াকওয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এখন অফিসিয়ালি এটি উন্মুক্ত করার পালা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d