চট্টগ্রামচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

আমার উপরে প্রথমে আল্লাহ, পরে শেখ হাসিনা আছেন : চবি উপাচার্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য একটা চলমান প্রক্রিয়া। আপনি ইচ্ছে করলেই আমাকে টেনে নামতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী যতদিন আমাকে চাইবেন আমি থাকব, উনি যখনই বলবেন আমি আসন ছেড়ে দিব। আমার উপরে আল্লাহ আছে, আর নিচে আছে শেখ হাসিনা। আমারও একটু আরামের দরকার ছিল এগুলো ছেড়ে দিয়ে একটু লেখালেখি করব। উনি যখন চাচ্ছেন না আমাকে আর কয়েকটা দিন সহ্য করুন। আমাকে একটু ভালো রাখেন। আর আমাকে বাকি কাজগুলো করতে দেন।’

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে নবনির্মিত দুটি আবাসিক হল বঙ্গবন্ধু ও অতীশ দীপঙ্কর হল উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।

আমি যতদিন আছি একদিনও মাঠ ছেড়ে যাব না। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্যা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। তারা সরাসরি যুদ্ধ করেছেন। তাই আমি ভয় পাই না।

২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নামে দুটি হল বেশ ঘটা করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তথ্য মতে, গত ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর ছাত্রদের জন্য ১৮৬ আসন বিশিষ্ট প্রায় ৪৫ হাজার বর্গফুটের দোতলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের উদ্বোধন করা হয়। হলটিতে দুটি লিফট, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পাঠাগার, ৫০ কেভি পাওয়ারের জেনারেটর, ক্যানটিন, প্রার্থনা কক্ষ, ইনডোর গেম, কমন রুম, ইউনিয়ন রুম, টিভি রুম, ওয়েটিং রুম, প্রভোস্ট রুম, আবাসিক শিক্ষকদের রুম,লন্ড্রি, দোকানসহ রয়েছে সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। ৯ কোটি ৭৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলটি নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ না দিয়ে দেড় বছর পর ২০১৭ সালের মে থেকে হলটির ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে ১৮৬ আসন বিশিষ্ট দোতলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলকে ৭৩৮ আসন বিশিষ্ট ছয় তালা ভবন করা হয়। ফলে এর মোট আয়তন দাঁড়ায় প্রায় ১৩ হাজার ৮৪৮ বর্গ মিটার। যার নির্মাণ ব্যয় ৩৩ কোটি ১৪ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা।

এছাড়া , চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দীর্ঘদিনের। সংকট সমাধানে চবি প্রশাসন অতীশ দীপঙ্কর হলের নির্মাণের কাজ করে। ৫ হাজার ৪৭৮ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে সর্বমোট ১৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই হলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয় ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি। হলটির দ্বিতীয় ধাপের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা উপ-উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) এবং উপাচার্যের (রুটিন দায়িত্ব) দায়িত্ব পালন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d