ইসরায়েলি নির্যাতনের ভয়াবহ বর্ণনা দিলেন ফিলিস্তিনি গায়িকা
ইসরায়েলি নির্যাতনের ভয়াবহ বর্ণনা দিলেন ফিলিস্তিনি গায়িকা
ইসরায়েলের নাজারেথ এলাকার বাসিন্দা ফিলিস্তিনি জনপ্রিয় গায়িকা দালাল আবু আমনেহ । ১৯৮৩ সালে ইসরায়েলের নাজারেথ শহরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ইসরায়েলের নাজারেথ এলাকার বাসিন্দা আমনেহের দেশটির নাগরিকত্বও রয়েছে।
ইসরায়েলে হামাস হামলা করলে ইনস্টাগ্রামে ফিলিস্তিনি পতাকার ইমোজি ব্যবহার করে পোস্ট দেন তিনি। পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘স্রষ্টা আমাকে সাহায্য করুন। তিনিই একমাত্র ক্ষমতার অধিকারী। সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কোনো বিজয়ী নেই।’
এ পোস্টের জেরে তাকে করে গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলের পুলিশ। এক বিবৃতিতে ইসরায়েল পুলিশ অভিযোগ করেছে, যুদ্ধ নিয়ে উসকানিমূলক কথা বলছিলেন গায়িকা।
পুলিশের দাবি, ইনস্টাগ্রামে একাধিক পোস্টে ইসরায়েলের বিপক্ষে গিয়ে ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। জননিরাপত্তা লঙ্ঘন হওয়ার আশঙ্কা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
দুদিন কারাগারে থাকার পর ১৮ অক্টোবর জামিন পান আবু আমনেহ। আমনেহ কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি দিলেও গৃহবন্দি করে রেখেছে ইসরায়েলিরা। তাকে আবারও গ্রেপ্তারের শঙ্কাও রয়েছে। এর মধ্যেও কারাগারে তার সঙ্গে হওয়া ইসরায়েলিদের নির্যাতনের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন তিনি।
রোববার দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইনস্টাগ্রামে দুই ছেলে-মেয়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন আমনেহ। সেখানে তিনি লেখেন, ‘মিথ্যা অপবাদে অন্যায়ভাবে দুই রাত নির্জন কারাগারে থাকার পর আমি এখন মুক্ত। তিন দিনের অনশনে দুর্বল হয়ে যাওয়া আমার শরীর এখন অনেকটাই সবল। সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস আমার আরও গভীর হয়েছে। আমার বার্তা এবং কাজের প্রতি বিশ্বাস বেড়েছে আরও দশগুণ। তারা আমার মনুষ্যত্বকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল এবং আমাকে সব রকমভাবে অপমান করেছিল।’
তিনি আরও লেখেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর অপমান এবং হাতে হ্যান্ডকাফ পরানো আমাকে আরও গর্বিত ও মর্যাদাবান করেছে।
দালাল আবু আমনেহ একটি দাতব্য সংস্থায় কাজ করেন। তিনি একজন চিকিৎসকও। কবি আনন আব্বাসীকে বিয়ে করেছেন তিনি। এ দম্পতির দুই পুত্র সন্তান রয়েছে।