আন্তর্জাতিক

উত্তরপূর্ব ভারতে শান্তি স্থাপনে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: বিশ্ব শর্মা

ভারতের আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে শান্তি রয়েছে বাংলাদেশের জন্য।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের পরবর্তী সরকার যদি ভারত-বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করে, তবে তাতে উত্তরপূর্বে সমস্যা তৈরি হতে পারে।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের আমলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাশী গোষ্ঠীগুলো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। তবে তার ইস্তফার পর আশঙ্কার বিষয়ে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে সংশয় প্রকাশ করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার(২৪ আগস্ট) রাজ্যটিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নে তিনি বলেছেন, গত তিন বছর ধরে ভারতের এ অঞ্চলে শান্তি বিরাজ করছে। আমরা চেষ্টা করব যে এই শান্তির পরিবেশ যেন বজায় থাকে। এরই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, মনে করছি, বাংলাদেশে হাসিনার সরকারের চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

কারণ বাংলাদেশে যদি কোনো ভারত বিদ্বেষী সরকার ক্ষমতায় আসে, তাতে ভারতের এই অংশ সমস্যায় পড়বে। তবে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। এবং বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। কারণ সেখানে এখনও নির্বাচন ঘোষণা হয়নি। বাংলাদেশে নির্বাচনের পরই আমরা জানতে পারব সেখানে কী ধরনের সরকার গঠন হতে যাচ্ছে। এবং তার প্রভাব আমাদের উপর কতটা পড়বে। এই বিষয়ে এখনই বলার সময় আসেনি।

তিনি এও বলেন যে, হতে পারে আমরা যা ভাবছি তা ভুল। নির্বাচনের পর একটা ভালো সরকার এল। দেখা গেল সেই সরকার, দুই দেশের সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে হাসিনা চেয়েও বড় ভূমিকা নিল। ফলে এখন বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর আমাদের রাখতে হবে।

আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম’ (উলফা) অবস্থান ও শক্তি নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘এই গোষ্ঠীর ৭০০ জন প্রশিক্ষিত সদস্য রয়েছে। তাদের ভালো নেটওয়ার্ক আছে এবং তাদের কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীরাও আছে। উলফা প্রধান পরেশ বড়ুয়ার যথেষ্ট ক্ষমতাশালী। আমরা তার ক্ষমতাকে ছোট করে দেখতে চাই না। তবে এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশের আরও ক্ষমতা থাকা উচিত। এটা এমন নয় যে উলফা একটি মৃত সংগঠন। আমি বলব না উলফা কী? তাদের কি আছে? আমি বলব উলফার অনেক কিছু আছে। তাদের কাছে প্রচুর অস্ত্র রয়েছে, প্রযুক্তি রয়েছে, তাই আমাদের প্রতিপক্ষকে একেবারেই দুর্বল ভাবা উচিত নয়। যদিও এখন কিছু হয় না। গত তিন বছর ধরে শান্তি বিরাজমান আছে। আমরা চাই এই শান্তি যাতে বিরাজমান থাকে। ’ সেই শান্তির প্রসঙ্গ কথার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রসঙ্গটি টেনে আনেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d