উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুতের দাম বাড়ছে : প্রতিমন্ত্রী
উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী মার্চে ফের বিদ্যুতের দাম বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। ওই মাসে নতুন করে পাইকারি ও ভোক্তা পর্যায়ে দাম ‘সামান্য’ বাড়ানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে ৩ থেকে ৪ শতাংশ দাম বাড়ানো হতে পারে বলে তার কথায় আভাস পাওয়া গেছে।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সমপ্রতি মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সেখানে দাম কতটুকু এবং কীভাবে বাড়ানো হবে সেই প্রস্তাব তৈরি করা হয়। এর আগে সবশেষ ২০২৩ সালের মার্চ থেকে খুচরায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন সরকার বলেছিল, নিয়মিত মূল্য সমন্বয়ের অংশ হিসেবে দাম বাড়ানো হয়।
এবার দাম বাড়ানোর পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, স্বল্প মূল্যের বিদ্যুৎ পেতে আমরা কয়লাভিত্তিক অনেক কেন্দ্র চালু করলেও ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে সেই সুফল পুরোপুরি পাওয়া যায়নি। গত এক বছরে কয়লার দাম বেড়ে আবার কমে গেলেও টাকার বিপরীতে ডলার অনেক শক্তিশালী হয়েছে। ফলে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। এখন দাম কিছুটা বাড়াতেই হচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
সরকার যখন বেশ কয়েকটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেয় তখন এক ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান ছিল ৭৫ টাকা। বর্তমানে তা ১১০ থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে। কয়লার দামও ঘনঘন ওঠানামা করছে। টাকার অবমূল্যায়নের বিষয়টি সামনে এনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডলারের কারণে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। সে কারণে দর কিছুটা সমন্বয় করা হবে।
দেশে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়াও রামপাল, পায়রা, মাতারবাড়ি ও বাঁশখালীতে নতুন তিনটি কয়লাভিত্তিক বা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন শুরু করেছে, যেখানে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। সরকারি সংস্থা পিজিসিবির হিসাবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘণ্টাপ্রতি সাড়ে ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। সেখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ছিল প্রায় সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট।