কানাডাকে হারিয়ে তৃতীয় স্থান উরুগুয়ের
কোপা আমেরিকার তৃতীয় স্থান অর্জনের লড়াইয়ে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচ উপহার দিলো উরুগুয়ে ও কানাডা। প্রথমবার কোপায় খেলতে নেমেই দারুণ চমক দেখিয়েছে কানাডা, সেমিফাইনালে সেই স্বপ্নযাত্রা শেষ হয় আর্জেন্টিনার কাছে হেরে।
আজকের (রোববার) ম্যাচেও দুর্দান্ত লড়াইয়ে নির্ধারিত সময়ে শক্তিশালী উরুগুয়ের বিপক্ষে ২-২ গোলে সমতায় রাখে তারা। খেলা গড়ায় টাই ব্রেকারে। সেখানে উরুগুয়ে ৪-৩ গোলে জিতে কোপায় আমেরিকার তৃতীয় স্থান অর্জন করে।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট পার হওয়ার পর ২-১ গোলের স্কোর লাইন নিয়ে কানাডা ভাবতেও পারেনি এমন ম্যাচ হাতছাড়া হতে চলেছে। যার পুরো কৃতিত্ব লুইস সুয়ারেজের। উরুগুয়ের এই কিংবদন্তি ও দলটির সর্বোচ্চ স্কোরার জিমিনেজের দেওয়া পাস থেকে যোগ হওয়া সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে স্কোর ২-২ করে ম্যাচটাকে শুটআউটে নিয়ে গেছেন। অর্থাৎ উরুগুয়েকে নতুন জীবন দেওয়ার কারিগর ছিলেন তিনি। তার পর ম্যাচটা টাইব্রেকারে গড়ালে সেখানে কানাডার ইমায়েল কোনের স্পট কিক সেভ করেছেন উরুগুয়ের গোলকিপার। আর আলফোনসো ডেভিস ক্রসবারে শট নিলে শুটআউটে জয় সঙ্গী হয়েছে সুয়ারেজদের।
চলতি কোপায় যেখানে ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র (গ্রুপপর্ব) ও ইকুয়েডরের মতো দেশ কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নিয়েছিল, সেখানে বড় চমক কানাডা। উত্তর আমেরিকার দেশটি ২০১৬ সালের কোপায় বাছাইপর্ব পেরোতে না পারায় খেলতে পারেনি। এরপর অভিষেকে আসরেই দারুণ নৈপুণ্য, আজকের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও তাদেরই লিড ছিল প্রায় শেষ পর্যন্ত।
ম্যাচের মাত্র অষ্টম মিনিটেই উরুগুয়েকে লিড এনে দেন বেন্টাকুর। তবে সেই উল্লাস বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কারণ ১৪ মিনিটেই সমতা ফেরায় কানাডা। ইসমাইল কোনে দারুণ এক ফ্লিকে ১-১ সমতা টেনে বল জালে পাঠান। লিড নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দল। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মিলছিল না। ম্যাচের ৮০তম মিনিটে আসে সেই গোল। দলের বড় তারকা জনাথন ডেভিডই এবার কানাডাকে লিড এনে দেন। মনে হচ্ছিল তৃতীয় স্থান বুঝি দখলে নিলো উত্তর আমেরিকানরা। তবে সেটি আর সম্ভব হয়নি। রোমাঞ্চ কিছুটা বাকি রেখেছিল উরুগুয়ে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষে যোগ করা সময়ের ৫ মিনিট চলছিল। তৃতীয় মিনিটেই কানাডার ডিবক্সে রক্ষণচেরা রদ্রিগেজের পাস, এক টাচে সেটিকে গোলে পরিণত করেন সুয়ারেজ। এরপর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখান থেকেই তৃতীয় স্থান নিজেদের করে নেয় উরুগুয়ে।