চট্টগ্রাম

কালুরঘাট সেতুতে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু

যান চলাচলের জন্য সংস্কারাধীন কালুরঘাট সেতুতে শুরু হয়েছে কার্পেটিংয়ের কাজ। এর আগে বিশেষ প্রযুক্তিতে কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ শেষ করে সেতু সংস্কার কাজে নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

পায়ে হেঁটে সেতু পারাপারে সেতুর ডানপাশে নব নির্মিত ওয়াকওয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করার পালা। আসন্ন ঈদ উল আযহার (কোরবানির ঈদ) আগেই সেতুর এ ওয়াকওয়ে পথচারীদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশলীরা।

রেলওয়ে প্রকৌশলীরা জানান, সেতুর ডান পাশে নব নির্মিত ওয়াকওয়ের কাজ শেষ হয়ে গেছে। আসন্ন কোরবানির ঈদের আগেই ওয়াকওয়ে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। অল্প কিছু কাজ রয়েছে। তা সম্পন্ন করা হচ্ছে।

বুধবার (৫ জুন) থেকে সেতুতে যান চলাচলের জন্য সেতুর সড়ক পথের কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করা হয়েছে। এই কাজ শেষ হলে যানবাহন পারাপারের জন্য সেতু উন্মুক্ত করা হবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারিত রেলপথে ট্রেন চলাচলের জন্য গত বছরের ১ আগস্ট কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয়। বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দলের পরামর্শে সেতুটিকে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়। তবে অর্থ সংকটের কারণে সেতুর সংস্কার কাজ বিলম্ব হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। তারা জানান, সেতু সংস্কারের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সাথে চুক্তি হওয়া ৪৩ কোটি টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ১৫ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েক দফায় সেতুরটির সংস্কার কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এছাড়া গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত একটি ডক ইয়ার্ডে যাওয়ার সময় তীব্র বাতাস আর জোয়ারের কারণে এমভি সামুদা–১ নামের একটি লাইটার জাহাজ ভেসে এসে সংস্কারাধীন কালুরঘাট সেতুতে ধাক্কা দেয়। এতে সেতুর ওয়াকওয়ের রেলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে মূল স্ট্রাকচারে বড় ধরনের তেমন ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন সেতুর সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। এই কারণে সেতুর সংস্কার কাজ আরও দুই মাস পিছিয়ে যায়।

পুরো সেতুর সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার আগে রেল কর্তৃপক্ষ প্রথমে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালুর জন্য সেতুর ট্রেন লাইনের সংস্কার কাজ শেষ করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তোলে। গত বছরের ১ ডিসেম্বর পর্যটন নগরী কক্সবাজার রুটে প্রথমবারের মতো যাত্রীবাহী (কক্সবাজার এক্সপ্রেস) ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এর আগে গত বছরের ১১ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দোহাজারী–কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এখন সেতুর উপর দিয়ে কক্সবাজার রেল রুটে প্রতিদিন দুটি আন্তঃনগর ট্রেন এবং একটি স্পেশাল ট্রেন এবং দোহাজারী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেলবাহী ট্রেন চলাচল করছে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা বলেন, ‘সেতুতে যুক্ত হওয়া নব নির্মিত ওয়াকওয়ের কাজ শেষ হয়েছে। কোরবানির ঈদের আগে তা উন্মুক্ত করা হবে। ওয়াকওয়ে দিয়ে উভয় পাড়ের মানুষ চলাচল করতে পারবেন। আশা করি জুন মাসেই সেতুতে সড়ক পথের কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d