কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বজয়ী হাফেজ বশিরকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রলীগ
ইরানে বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতায় ১১০টি দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে প্রথম হওয়া হাফেজ বশির আহমেদকে সংবর্ধনা দিয়েছে ছাত্রলীগ।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, মাদরাসাবিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম ও বশিরের শিক্ষক নেছার আহমাদ-আন-নাছিরী।
ইরানের রাজধানী তেহরানে বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতায় ৩০ পারা কোরআন গ্রুপে ১১০টি দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে বশির আহমেদ প্রথম হয়েছেন।
শুভেচ্ছা জানিয়ে সাদ্দাম বলেন, আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি করতে চেয়েছি। আমাদের রাজনীতিতে যে সাংস্কৃতিক ফাঁক ছিল, তা গুছিয়ে ফেলার জন্য আমরা এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি। সে কারণে আমরা কেন্দ্রীয় কমিটিতে মাদরাসাবিষয়ক সম্পাদক যুক্ত করেছি।
তিনি বলেন, অর্থনীতি, নীতি ও নৈতিকতা, আধ্যাত্মিকতার জায়গা থেকে বাংলাদেশকে শক্তিশালী করার জন্য মাদরাসা শিক্ষার্থীরা কাজ করে। ভবিষ্যতে কওমি মাদরাসায় পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দের জন্য ছাত্রলীগ কাজ করবে।
শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ছাত্রলীগ ইসলাম ধর্মের প্রকৃত মর্মে বিশ্বাস করে। ইসলাম ধর্মের যে বাণী— সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে মিলেমিশে থাকা, ছাত্রলীগ তা ধারণ করে। এটি ধারণ করে একটি সুখী ও আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করে ছাত্রলীগ।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসাকে যে স্বীকৃতি দিয়েছেন তার জন্য মাদরাসার শিক্ষার্থীরা আল্লার কাছে শুকরিয়া আদায় করে। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় বাংলাদেশে কারা প্রকৃতার্থে ইসলামের খেদমত করে, আর কারা ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষের আবেগকে ব্যবহারের চেষ্টা করে।
উল্লেখ্য, হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বেগুনাই গ্রামের মো. আব্দুর রশিদ চৌধুরী ও বুশরা চৌধুরী দম্পতির ছেলে বশির আহমেদ। সে ঢাকার মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার শিক্ষার্থী।