গাজার ধ্বংসাবশেষ সরাতে সময় লাগবে ১৪ বছর
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় বিধ্বংসী হামলা ও গণহত্যা শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। প্রতি মূহুর্তে বিমান হামলায় একের পর এক ধ্বংস হয়েছে বাড়িঘর, প্রাণ হারিয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
গাজার মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী যুদ্ধের ২০০তম দিন অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি হামলায় ৩ লাখ ৮০ হাজার আবাসিক ঘরবাড়ি, ৪১২ স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়, ৫৫৬ মসজিদ, তিনটি গির্জা, ২০৬ প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহ্যবাহী স্থান সম্পূর্ণরুপে ধ্বংস হয়েছে।
এই ধ্বংসের কারণে অন্তত ৩ হাজার কোটি ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস।
তবে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিধ্বংসী হামলার ফলে অবিস্ফোরিত অস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ ধ্বংসস্তূপ সরাতে প্রায় ১৪ বছর সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা। খবর রয়টার্স।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) জেনেভায় জাতিসংঘের এক ব্রিফিং এ কথা বলেন ইউনাইটেড নেশনস মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের (ইউএনএমএএস) সিনিয়র অফিসার পেহর লোধাম্মার।
তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ফলে আনুমানিক ৩৭ মিলিয়ন টন ধ্বংসাবশেষের সৃষ্টি হয়েছে। যা ব্যাপকভাবে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলটিকে ঢেকে ফেলেছে।
তিনি বলেন, যদিও গাজায় পাওয়া অবিস্ফোরিত অস্ত্রের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা অসম্ভব, তবে অনুমান করা হয়েছে সেগুলোসহ ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হওয়া ভবনগুলির ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে নির্দিষ্টভাবে ১৪ বছর সময় লাগতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন ১০০টি ট্রাক কাজ করলেও এই ধ্বংসাবশেষ সরাতে ১৪ বছর ধরে কাজ করতে হবে।
এদিকে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় ৭৫ হাজার টন বিস্ফোরক ফেলেছে যা পুরো গাজাকে ধ্বংসস্তূপে এবং মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৩৫৬ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে ৭৭ হাজার ৩৬৮ জন।