চট্টগ্রামে ‘টেকসই রিপোর্টিং’ নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামে ‘টেকসই রিপোর্টিং’ নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) ‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং: এন এনাভেলার অব কোম্পানি ভ্যালু ক্রিয়েশন’ শিরোনামে উক্ত সেমিনার আয়োজন করে দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশ এর চট্টগ্রাম ব্রাঞ্চ কাউন্সিল (সিবিসি)।
এতে সভাপতিত্ব করেন আইসিএমএবি, বাংলাদেশ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহমান খান, বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন আইসিএমএবি, বাংলাদেশ এর সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সেলিম এবং রিসোর্স পারসন হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিআরআই এর দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ড. অদিতি হালদার।
সেমিনারে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যসহ নানাবিধ কারণে টেকসই রিপোর্টিং ইদানিং সারা বিশ্বে ক্রমশ গুরুত্ব পাচ্ছে। টেকসই রিপোর্টিং মূলত পরিবেশগত গুণমান, সামাজিক ন্যায্যতা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য পরিবেশগত, সামাজিক এবং সুশাসন সম্পর্কিত সমস্ত তথ্যাদি নিবিড় বিশ্লেষণ, শনাক্ত, পরিমাপ, প্রকাশ এবং উপস্থাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসা, অব্যবসা, সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহে কীভাবে শেয়ার হোল্ডার তথা মালিক, অংশীজন এবং সমাজের জন্য মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে তারই প্রতিফলন আমরা এই রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে জানতে পারি।
টেকসই রিপোর্টিং টেকসই ব্যবসার উপর নির্ভর করে। তাই টেকসই প্রতিবেদন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়ার আগে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই একটি গতিশীল ব্যবসায়িক মডেল প্রবর্তন এবং প্রয়োগ করার পরিকল্পনা থাকতে হবে যা বর্তমান ব্যবসাকে টেকসই ব্যবসাতে রুপান্তর করতে সক্ষম হবে। টেকসইয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে চার ধরণের প্রতিষ্ঠান যথা: বিজনেস এজ ইউজুয়াল, টেকসই ব্যবসা ১.০, ২.০, ৩.০ যেখানে গতিশীল ব্যবসা মডেল প্রয়োগ করে সত্যিকার টেকসই ব্যবসা ৩.০ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখবে।
টেকসই ব্যবসা তথা টেকসই প্রতিবেদন ব্যবসার প্রসার, ব্যয় হ্রাস, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বিভিন্ন আইনগত ব্যয় ও জরিমানা পরিহার, কর্মকর্তাদের চাকুরিতে স্থায়িত্বকাল বৃদ্ধিসহ সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সমাজের জন্য প্রভূত মূল্য সংযোজন বা ভ্যালু সৃষ্টি করে থাকে।
উক্ত সেমিনারে আইসিএমএবি, বাংলাদেশ এর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।