চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে সওজের স্ট্যাক ইয়ার্ডে মাদকসেবীদের আস্তানা!

চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলি থানাধীন সাগরিকা স্ট্যাক ইয়ার্ড মাদকসেবীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এলাকাবাসীরা জানান, জায়গাটি নির্জন ও নিরিবিলি হওয়ার সুযোগে মাদকসেবীরা সেখানে মাদক সেবন করে থাকেন।

যদিও পাহাড়তলির সাগরিকা স্ট্যাক ইয়ার্ডটি চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের মনছুরাবাদস্থ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ বিভাগের অধীন। যেখানে সরকারি কোটি কোটি টাকার মালামাল ও যন্ত্রপাতি রয়েছে।

পাহাড়তলির স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ ও কামাল হোসেন জানান, প্রতিদিন রাতে একশ্রেণির মাদকসেবীরা এখানে নির্বিঘ্নে মাদক সেবন করে থাকেন। এতে এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।

বিকেল হলেই বিভিন্ন অপরাধী ও মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক বেচাকেনার পাশাপাশি সেবন করতেও ইয়ার্ডে অবস্থান নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষজনও উদ্বিগ্ন। তরুণেরা বিপথে যাচ্ছে। যদিও তাঁদের দাবি, পাহাড়তলি থানা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে এসব অবৈধ কার্যক্রম।

দিন দিন সাগরিকা স্ট্যাক ইয়ার্ডের পরিবেশ অবনতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় পাহাড়তলী থানা পুলিশকে কিছুদিন পূর্বে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের সংগ্রহ ও সংরক্ষণ বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী শুভ্র দাস।

চিঠিতে সিএমপি পাহাড়তলি থানা পুলিশের ওসিকে তিনি জানান, ফৌজদারহাট সাগরিকা স্ট্যাক ইয়ার্ডে সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সংরক্ষিত রয়েছে। যেখানে বর্তমানে সওজের ৬ জন নিরাপত্তা প্রহরী কর্মরত রয়েছে। কিন্তু বিগত কয়েকদিন যাবত স্ট্যাক ইয়ার্ডে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ বেড়েছে। বিভিন্ন সময়ে বহিরাগতরা ইয়ার্ডের ভিতরে মাদকদ্রব্য সেবন ও ইয়ার্ডের মালামাল চুরির চেষ্টা করছেন।

গত ২৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় বহিরাগতরা স্ট্যাক ইয়ার্ডের ভিতরে প্রবেশ করে মাদকসেবন ও মালামাল চুরির চেষ্টা করে। এতে নিরাপত্তা প্রহরীরা বাধা দিলে প্রহরীদের উপর সশস্ত্র হামলা করে মো. জহির উদ্দিন নামে একজন নিরাপত্তা প্রহরীকে গুরুতর আহত করেন। পরে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান।

একই চিঠিতে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী স্ট্যাক ইয়ার্ডে কর্মরত নিরাপত্তা প্রহরীদের জানমাল এবং ইয়ার্ডে রক্ষিত সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মালামাল রক্ষায় পুলিশ সহযোগিতা ও পুলিশের টহল টিম বৃদ্ধির কথা জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাহাড়তলি থানার ওসি মোহাম্মদ কেফায়েত উল্ল্যাহ বলেন, ‘সড়ক ও জনপদ বিভাগ হতে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়েছি। আমাদের টহল ও মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করছেন। পাশাপাশি সাগরিকা স্ট্যাক ইয়ার্ডের আশেপাশে সন্ধ্যার পর থেকেই এখন পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। সরকারি সম্পদ রক্ষায় পুলিশ সব সময় আন্তরিক। পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d