চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হবে বৃহস্পতিবার: প্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন বৃহস্পতিবার বিকালের মধ্যে সম্পূর্ণ মেরামত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।বুধবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় হামুন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। এসময় কক্সবাজার এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে রাত ১টার দিকে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয় ওই ঘূর্ণিবায়ুর চক্র।এ ঝড়ে কক্সবাজারে দুজন এবং চট্টগ্রামে দুইজনের মৃত্যুর খবর এসেছে। বিপুল সংখ্যক কাঁচা ঘর, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, ঝড়ের কারণে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাড়ে চার লাখ এবং চট্টগ্রাম-১ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ৪ লাখ ১০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন পড়ে। তবে বুধবার বিকাল নাগাদ কক্সবাজারে ৫৫ হাজার এবং চট্টগ্রাম-১ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে এক লাখ ৩০ হাজার সংযোগ পুনঃস্থাপন করা গেছে।
“প্রায় ৭০০ জন লাইনক্রু ১৬৩ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মাঠে কাজ করছে। তাছাড়াও নিয়মিত লোকবল ও ঠিকাদারদের পাশাপাশি চট্টগ্রাম পিবিএস-২ ও চট্টগ্রাম পিবিএস-৩ থেকে অতিরিক্ত লোকবল ও ঠিকাদারকে কক্সবাজার জেলায় পাঠানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় হামুন এর প্রভাবে গ্যাস সরবরাহে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া নেই।”
বুধবার প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার ভেতরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। যদিও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে আরও দ্রুত সব লাইন সচল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।