চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল সাড়ে ৫ কোটি টাকার বিল জালিয়াতি
আড়াইশ শয্যার চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার বিলে ব্যয় মঞ্জুরিপত্র ছিল না। সেটি জালিয়াতি করে জমা দেওয়া হয় বিল। জালিয়াতির এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। ডা. রাব্বিসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলার সুপারিশ করেছে দুদকের চট্টগ্রাম অফিস। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল এবং দুদকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের (আইসিইউ) আটটি শয্যা, ভেন্টিলেটর ও কার্ডিয়াক পেশেন্ট মনিটরসহ প্রায় ১৫ কোটি টাকার চিকিৎসা যন্ত্রপাতি কেনে আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল। ঠিকাদার যন্ত্রপাতি সরবরাহের পর সেগুলো মানসম্মত না হওয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে সমালোচনা তৈরি হলে কিছু যন্ত্রপাতি সংযোজন ছাড়াই দীর্ঘদিন হাসপাতালের গোডাউনে ফেলে রাখা হয়। এরমধ্যে ৮টি আইসিইউ বেড, ৮টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর এবং একটি কার্ডিয়াক পেশেন্ট মনিটর। এসব যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে ঢাকার পল্লবীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজ।
পরবর্তীসময়ে এসব যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনিয়ম অনুসন্ধানে দুর্নীতির সত্যতা পায় দুদক। যন্ত্রপাতি ক্রয়ে প্রায় ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই সময়ের সিভিল সার্জন (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) ড. সরফরাজ খান চৌধুরী, হাসপাতালের তিন ডাক্তার এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চারজনসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মামলা করে দুদক। মামলাটি বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন।
এ বিষয়ে কথা হলে আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ২০২২ সালের জুন মাসে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার একটি বিলের ব্যয় মঞ্জুরিপত্র জালিয়াতির বিষয়ে দুদকে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি দুদক এখনো অনুসন্ধান করছে। তবে মামলার সুপারিশ করা হয়েছে কি না, সেটি আমার জানা নেই। দুদক কর্মকর্তারা কিছুদিন আগেও আমাকে জানিয়েছেন, তারা এখনো বিষয়টি অনুসন্ধান করছেন।