চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাড়ছে পদ্মার পানি
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় অবস্থিত ফারাক্কা বাঁধের ১০৯ গেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে শোনা গেছে। এদিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীতে ২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে বলে নিশ্চিত করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. ময়েজ উদ্দিন।
তিনি বলেন, রোববার (২৫ আগস্ট) পর্যন্ত ফারাক্কার ২৭টি গেট খোলা ছিল। সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখলাম মোট ১০৯টি গেট খোলা হয়েছে। এভাবে হঠাৎ এতগুলো গেট খুলে দিলে এ অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
মো. ময়েজ উদ্দিন আরও বলেন, পদ্মা নদীর পাঁকা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ সে.মি. পানি বেড়ে ২০ দশমিক ৪৬ সে.মি. হয়েছে। আর একই পয়েন্টে বিপদসীমা হচ্ছে ২২ দশমিক ০৫ সে.মি.। তবে ফারাক্কার সবকটি গেট বা ১০৯ টিকেট খুলে দেওয়া হয় তাহলে ২৪ ঘণ্টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ডুবে যাওয়ার কথা। কিন্তু মাত্র দুই সেন্টিমিটার পানি বাড়ায় আসলে ভারত কর্তৃপক্ষ কতটি গেট খুলেছে তা বোঝা যাচ্ছে না। প্রকৃতপক্ষে ভারত কর্তৃপক্ষ কতটি গেট খুলেছে তা জানা এখনও সম্ভব হয়নি।
এদিকে ভারতের বিভিন্ন সূত্র বলছে, ফারাক্কার ১০৯টি গেট খুলে দিয়ে এই বাঁধ থেকে ছাড়া হয়েছে ১১ লাখ কিউসেক পানি। কর্তৃপক্ষের দাবি, পানি না ছাড়লে বাঁধের মারাত্মক ক্ষতি হতো। এ কারণে বাধ্য হয়েই বাঁধের মুখ খুলে দিতে হয়েছে।
আগেই পশ্চিমবঙ্গজুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছিল কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সেই পূর্বাভাসকে সত্যি করে দুদিন ধরে এক নাগাড়ে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। তাতে বেড়ে গেছে গঙ্গা নদীর পানি স্তর এবং চাপ বেড়েছে ফারাক্কা ব্যারেজে।
ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আর দেশ পাণ্ডে জানিয়েছেন, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যা সৃষ্টি হওয়ায় গঙ্গা নদীর পানিস্তর বেড়ে গেছে। এর জন্য ফারাক্কার ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। পানি না ছাড়া হলে ব্যারেজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই পানি ছাড়ার ফলে ফারাক্কার ব্যারেজের আশপাশের গ্রামে পানি ঢুকছে। ফলে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।