চালের কার্ড করে দেওয়ার নামে টাকা নিলেন চেয়ারম্যানের শ্বশুর
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় স্বল্পমূল্যে ৩০ কেজি চালের কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ১৫ জন হতদরিদ্রের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টুর শ্বশুর মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
টাকা নেওয়ার পরেও চালের কার্ড করে না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার (৪ জুন) উপজেলা নির্বাহী বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ইউনিয়নের ধাপতেতুলিয়া গ্রামের ভুক্তভোগী ১৫টি পরিবার।
লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, প্রায় বছর দেড়েক আগে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সাশ্রয়ী মূল্যে চালের কার্ড করে দেওয়ার দিতে চেয়ে হতদরিদ্রে প্রতিটি পরিবারের কাছ থেকে ৪ হাজার করে মোট ৬০ হাজার টাকা নিয়েছেন মো. শহিদুল ইসলাম। পরে ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণের সময় গেলে তিনি জানান এবার তোমাদের নাম আসেনি। এরপর তোমাদের নাম এলে তোমরা চাল কিনতে পারবে। এভাবে মিথ্যা আশ্বাস দিতে থাকেন শহিদুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরে কার্ড না পাওয়া তার কাছে গেলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ভাবে ওই ১৫টি পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টুর শ্বশুর মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি কিছু লোকজনের টাকা নিয়েছিলাম। কার্ড না হওয়ায় আমি সে টাকা ফিরত দিয়েছি।
তবে বিষয়টি জানার পরে শ্বশুরকে টাকা ফিরত দিতে বলেছেন বলে জানান, সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্ট। তিনি বলেন, যাদের নামে কার্ড হয়নি তাদের আগামীতে কার্ড করে দেওয়া হবে।
বুধবার (৫ জুন) দুপুরে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।