চুয়েট শিক্ষার্থীদের চাপা দেওয়া বাসের ফিটনেস ছিল না
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়া ‘শাহ আমানত’ বাসের ফিটনেস ছিল না। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই এ বাসের ফিটনেসের মেয়াদ শেষ হয়।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম বিআরটিএর সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থি।
তিনি বলেন, চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দায়ী বাসের ফিটনেস ছিল না। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ বাসের ফিটনেসের মেয়াদ শেষ হয়েছে।
চুয়েটের তিন শিক্ষার্থীকে কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় শাহ আমানত নামের বাসটি ধাক্কা দেয়। এতে দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। আহত হন আরেক শিক্ষার্থী। যে মোটরসাইকেল যোগে শিক্ষার্থীরা আসছিলেন সেটিরও কোনো লাইসেন্স ছিল না। নিহত দুই শিক্ষার্থীর মাথায় হেলমেট ছিল না। শুধু আহত শিক্ষার্থীর মাথায় হেলমেট ছিল।
নিহত দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে শান্ত সাহা পুরকৌশল বিভাগের ’২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী (আইডি-২০০১১০০)। তিনি নরসিংদীর কাজল সাহার ছেলে। অন্যজন তৌফিক হোসেন একই বিভাগের ’২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী (আইডি-২১০১০০৬)। তিনি নোয়াখালীর সুধারামের নিউ কলেজ রোডের মোহাম্মদ দেলোয়ারের ছেলে। দুর্ঘটনায় পুরকৌশল বিভাগের ২১ ব্যাচের জাকারিয়া হিমু নামে এক ছাত্র গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।