চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদা-মাছ লুটের অভিযোগ
কক্সবাজারের চকরিয়ার চিংড়িজোন রামপুর সমবায় কৃষি উপনিবেশ সমিতির মালিকানাধীন ৯০ একর চিংড়িঘের থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় সর্বশেষ শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে সমিতির ঘেরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা তাণ্ডব চালিয়ে মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। চাঁদা না দিলে সমিতির চিংড়ি ঘের জবরদখলে নেবে বলে হুমকি ধমকি দিচ্ছে।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে চকরিয়া থানা সেন্টারে রামপুর সমিতির কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সমিতির সম্পাদক শহিদুল ইসলাম লিটন। এ সময় সমিতির সভাপতি আবু জাফর, সহ-সভাপতি আলী আজম ছাড়াও ব্যবস্থাপনা কমিটি ও সমিতির নারী পুরুষ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের ব্যাপারে সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী বলেন, সংবাদ সম্মেলন করে দেয়া বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। কর্মচারী পাঠিয়ে ৯০ একর চিংড়িঘের দখলে নেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে রামপুর সমিতি থেকে ৯০ একর চিংড়ি ঘের ছয় অর্থবছরের জন্য লাগিয়ত নিয়েছিলাম। কিন্তু ঘেরের মধ্যে সমিতির কিছু লোক বসতঘর তৈরি করে বসবাস করার পাশাপাশি তারা প্রতিনিয়ত মাছ চুরি করায় দু’অর্থবছরে বিপুল টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। এই তথ্য সমিতির নেতৃবৃন্দকে জানালে তারা অবশিষ্ট ৪ অর্থবছরের টাকা প্রতিবছর ১৭ লাখ করে দেয়ার স্টাম্প চুক্তি করে।
চেয়ারম্যানের দাবি চার অর্থবছরের মধ্যে বিগত অর্থবছরে আমাদের ১৭ লাখ টাকা দিলেও চলতি অর্থবছরে মাত্র দু’দফায় ৪ লাখ টাকা দিয়েছে। গত ১ অক্টোবর অবশিষ্ট টাকা দেয়ার কথা থাকলেও ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেয়নি। তাদের টালবাহানায় ফের কর্মচারী পাঠিয়ে চিংড়ি ঘের দখলে নিয়েছি। এখানে কোন চাঁদাবাজি বা লুটপাটের ব্যাপার নেই।