জুয়া কোম্পানিতে যুক্ত হয়ে ‘অবৈধ কিছু করিনি’: মাহি
অনলাইন জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হয়েছে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। শনিবার (২৫ মে) ফেসবুক ভিডিওবার্তায় কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি জানান তিনি।
জুয়া কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার খবর জানিয়ে ভিডিওবার্তায় মাহি বলেন, ‘আমি মাহিয়া মাহি। আজকে আমি তোমাদের জন্য দারুণ একটি নিউজ নিয়ে এসেছি। আমি নতুন এক ফ্যামিলিতে যোগ দিতে যাচ্ছি। জয়েন হতে যাচ্ছি … শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। অনেক চমক নিয়ে আসব তোমাদের কাছে।’
এদিকে বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনে জুয়া খেলা একেবারেই নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদে নৈতিকতা রক্ষায় রাষ্ট্রের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ১৮৬৭ সাল থেকে চালু প্রকাশ্য জুয়া আইন অনুসারে, কেউ টাকার বিনিময়ে বাজি বা জুয়ার আসর বসালে এবং কেউ তাতে অংশ নিলে তা হবে দণ্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং প্রচলিত আইন অনুসারে সব ধরনের জুয়া বাংলাদেশে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
কিন্তু মাহির বক্তব্য একটু অন্য ধরনের। একটি গণমাধ্যমকে তিনি জানান, জুয়া কোম্পানিতে যুক্ত হয়ে তিনি অবৈধ কিছু করেননি।
যুক্তি দিয়ে মাহি বলেন, ‘চুক্তিতে স্পষ্টভাবে লেখা আছে ক্রিকেট রিলেটেড ইনফরমেটিভ প্ল্যাটফর্ম অ্যান্ড নট প্রমোটিং ক্যাসিনো। আমি এভাবেই তাদের সঙ্গে চুক্তি করেছি। চুক্তিতে এটাও উল্লেখ আছে, আমি যদি কোনো বেটিং অ্যাপের সঙ্গে কাজ করতে চাই, সেটাও পারব না। আমি অবৈধ কোনো কিছু করিনি। আমাদের দেশের অনেকেই এ রকম চুক্তি করেছেন। আমি অবশ্যই বেটিং অ্যাপের সঙ্গে নেই, ভবিষ্যতেও থাকব না।’
মায়ের ওড়না দিয়ে শাড়ি বানিয়ে পরলেন জেফারমায়ের ওড়না দিয়ে শাড়ি বানিয়ে পরলেন জেফার এর আগে দেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ এমন সাইটের বিজ্ঞাপন ও শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নাম জড়িয়েছে জয়া আহসান, অপু বিশ্বাস ও নুসরাত ফারিয়ার। এর মধ্যে জয়া ও ফারিয়াকে শুধু বিজ্ঞাপনে পাওয়া গেলেও অপু কাজ করছেন শুভেচ্ছাদূত হিসেবে! আর তাদের বেশির ভাগেরই দাবি, ভুল তথ্যে তারা এগুলোতে জড়িয়ে পড়েছেন।
‘ভালোবাসার রঙ’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউড অভিষেক মাহির। এরপর ‘পোড়ামন’সহ বেশ কিছু সিনেমায় ব্যবসায়িক সফলতা পেয়েছেন তিনি। তবে পর্দার বাইরে ব্যক্তিজীবন নিয়েই তিনি বেশি থেকেছেন আলোচনায়। সবশেষ তাকে দেখা গেছে শাকিব অভিনীত ‘রাজকুমার’ সিনেমায়।