পার্বত্য চট্টগ্রাম

টানা বন্ধে খাগড়াছড়িতে পর্যটকের ঢল

একুশে ফেব্রুয়ারির বন্ধ ও সাপ্তাহিক ছুটির মাঝখানে একদিনের ছুটি নিয়ে টানা ৪ দিনের বন্ধে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির সাজেক ভ্যালিতে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। পর্যটকে মুখরিত হয়েছে আলুটিলা, রিছাং ঝরনা, জেলা পরিষদ পার্কসহ জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো। বুকিং হয়ে গেছে অধিকাংশ হোটেল রির্সোট।

পাহাড়, অরণ্য, ঝিরি–ঝরনা ও উপত্যকা নিয়ে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। সারা বছর পর্যটক সমাগম থাকলেও একুশে ফেব্রুয়ারির সরকারি বন্ধসহ টানা ছুটিতে খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের সমাগম বেড়েছে। আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গ, ঝুলন্ত ব্রিজ, তারেং, রিছাং ঝরনাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পর্যটকে মুখরিত থাকছে। যাতায়াত সুবিধার কারণে খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক ভ্রমণে যাচ্ছেন পর্যটকরা। পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা তাসলিমা, ফারুক ও রায়হান বলেন, এখানে ঘুরে খুবই ভালো লাগছে। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরেছি। এতো সুন্দর! ক্যামেরায় সব সৌন্দর্য বুঝা যায় না। প্রচুর পর্যটকের চাপ রয়েছে। বর্ষা আসলে আরো ভালো লাগত। কিন্ত সাজেকে মেঘ দেখেছি। পাহাড়ে না আসলে বুঝা–ই যেত না আমাদের দেশ এতো সুন্দর!

অতিথি বাড়ায় খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তিন দিনের ছুটিতে খাগড়াছড়ির অধিকাংশ হোটেল রির্সোট বুকিং হয়ে গেছে। খাগড়াছড়ির আবাসিক হোটেল গাইরিংয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রান্ত ত্রিপুরা বলেন, টানা বন্ধে খাগড়াছড়িতে প্রচুর পর্যটক সমাগম হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের হোটেলের সবকটি রুম বুকিং হয়ে গেছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত হোটেলে কোনো রুম ফাঁকা নেই।

পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তার জন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। খাগড়াছড়ি ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসান ইকবাল চৌধুরী জানান,‌ প্রতিদিনই খাগড়াছড়ি এবং সাজেকে প্রচুর পর্যটক আসছে। তাদের নিরাপত্তায় আলুটিলা, রিসাং ঝরনাসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মোবাইল ডিউটি এবং সিভিল টিম কাজ করছে। টানা বন্ধে অন্তত ৩০ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করবে আশা পর্যটন ব্যবসায়ীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d