ডিবির এসআই পরিচয়ে ৮ বিয়ের অভিযোগ
জেলার নাজিরপুরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই পরিচয়ে আট বিয়ে করেছেন মো. মনির ওরফে আমিনুল ইসলাম নামের এক প্রতারক। তিনি উপজেলার শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের ঘোপের খাল গ্রামের ময়ূর শেখের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি তিনি রোকেয়া আক্তার দীনা (৪৫) নামের এক নারীকে প্রতারণা করে বিয়ে করেন। ওই নারীর ঢাকার শ্যামপুর থানার ধোলাইপাড় এলাকার যুক্তিবাদী মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ৫৮/ক এ দীনা ভিলা নামের নিজস্ব বাড়ি রয়েছে।
ওই নারী জানান, তিনি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মেতালেব শেখের মেয়ে। তার পূর্বের স্বামী আলমগীর হোসেনের বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুর এলাকায়। স্বামীকে নিয়ে ২০ বছর কুয়েতে ছিলেন তিনি। করোনাকালীন স্বামী নিয়ে দেশে ফিরলে স্বামীর আলমগীরের মৃত্যু হয়। তার পাঁচ মেয়েকে বিয়ে দিয়ে তিনি একা হয়ে যান। পরে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতারক মনিরকে আবার বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর প্রতারক মনির ওই নারীর কাছ থেকে তার বাড়ির দলিল, নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও স্বর্ণ হাতিয়ে নেয়।
গত ২৫ জুন তাকে অন্যান্য মালামাল ও টাকা নিয়ে মনিরের নাজিরপুরের গ্রামের বাড়িতে আসতে বললে ওই নারী চলে আসেন। ওই রাতে তাকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে রাখে। ওই নারী বলেন, তিনি মনির ওরফে আমিনুলের বাড়িতেই অবস্থান করছেন। এমন প্রতারণার বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ওই বাড়িতেই তিনি থাকবেন।
অভিযুক্তের বাবাসহ স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত মনির ওরফে আমিনুল চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন। তার বিরুদ্ধে এমন প্রতারণার অভিযোগ নতুন নয়। তিনি আট বিয়ে করেছেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে থাকে। তবে প্রথম স্ত্রীর দুই সন্তান নিয়ে ঢাকায় মানুষের বাসায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মনির ওরফে আমিনুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি পলাতক থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।