ধর্ম

তারাবি নামাজের কাজা পড়ার বিধান কী?

রমজান মাসে রোজা পালনের পাশাপাশি যেসব আমলের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয় তন্মধ্যে অন্যতম তারাবি নামাজ। তারাবি পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা।

কোনো বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তারাবির নামাজ ছেড়ে দেওয়া মাকরুহ। অসুস্থ ও রোগী ওপর তারাবি জরুরি নয়, তবে কোনো কষ্ট না হলে তাদেরও পড়া মুস্তাহাব।

তারাবি নামাজের বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে।

হজরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রমজান সম্পর্কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি রমজানে ঈমানের সঙ্গে সওয়াব লাভের আশায় কিয়ামে রমজান অর্থাৎ তারাবির নামাজ আদায় করবে তার পূর্ববর্তী গোনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন), হাদিস, ১৮৭৯)

পুরুষদের মসজিদে জামাতের সঙ্গে তারাবি নামাজ আদায় করা উচিত। নারীদের জন্য কোনো মসজিদে বিশেষ ও নিরাপদ ব্যবস্থা থাকলে নারীরাও মসজিদে গিয়ে তারাবি নামাজ আদায় করতে পারবেন।

তারাবির জামাতে অংশ নিতে দেরি হওয়ার কারণে যদি কারও তারাবির জামাত থেকে কিছু রাকাত ছুটে যায় তাহলে কি করবেন?

ইসলাম বলে, তাহলে বেতরের নামাজের পর তা আদায় করে নেবে মুসল্লি।

তবে কোনো কারণে তারাবির নামাজ পুরোটাই ছুটে গেলে সম্ভব হলে এবং রাতে সময় পেলে তারাবি পড়ে নেওয়া উত্তম।

কিন্তু তারাবির সময় তারাবির নামাজ পড়তে না পারলে পরবর্তীতে আর কাজা করতে হবে না।

কারণ তারাবির নামাজের কোনো কাজা নেই। তাই পরবর্তীতে কাজা করার কোনো সুযোগ নেই। পড়লে তা নফল হিসেবে গণ্য হবে। তারাবি নামাজের কাজা হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d