তুই মরে যা শুনেই ভবন থেকে গৃহবধূর লাফ
তুই মরে যা। তোর সাথে আমি আর সংসার করবো না। আমি যেনো তোর মুখ আর না দেখি’। আগের বিয়ের বিষয়ে জেনে যাওয়ায় স্ত্রী তাহমিনা ইকবাল আরশিকে (৩২) ডিভোর্স দিয়ে এভাবেই তাড়িয়ে দিয়েছিলেন স্বামী আকরাম খান। বারবার স্ত্রী পায়ে পড়ে সংসার টেকাতে আকুতির পরেও কথা শোনেননি পাষণ্ড স্বামী। তাই অপমান এবং ক্ষোভে স্বামীর বাড়ির ৫ম তলার বারান্দা থেকেই লাফ নিয়ে আত্মহত্যা করেন আরশি।
মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে, খুলশী থানার লালখান বাজার এলাকার মো. আকরাম খানকে (৪২)। তিনি নিহত গৃহবধূ আরশির স্বামী। নিহত তাহমিনা ইকবাল আরশি কোতোয়ালী থানার নন্দনকানন এলাকার হরিশদত্ত লেইনের মো. ইকবাল উদ্দিনের মেয়ে।
আরশির বাবার করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ইসলামী শরিয়া মোতাবেক তার বড় মেয়ে তাহমিনা ইকবাল আরশির সাথে বিয়ে হয় আকরাম খানের। বিয়ের পর কুমিল্লার শাকপুরা মর্ডান হসপিটালের পিছনে ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস শুরু করে তারা। সংসার জীবনে বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর সম্প্রতি আরশি জানতে পারে, তার স্বামীর আগেও একটি বিয়ে হয়েছিলো। যা সে জানতো না। এরপর থেকেই স্বামী আকরান খান আরশিকে তালাকের হুমকি দিয়ে আসছিলো।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আকরাম খান বাদীর নন্দনকাননের বাসায় গিয়ে তাকে জানায় তার মেয়ে (আরশি) বিষপান করেছে। এরপর সে আরশিকে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফের বাসায় এসে আকরাম খান বলে তার মেয়ের সাথে আর সংসার করবে না। এরপর তার মেয়েকে বলে, ‘তুই মরে যা। তোর সাথে আমি আর সংসার করবো না। আমি যেনো তোর মুখ আর না দেখি।’
তখন আরশির স্বামী আকরাম খান বাসা থেকে বের হয়ে যায়।এর কিছুক্ষণ পর আরশি লালখান বাজার এলালার বাঘঘোনা মোড়ের সিয়াজ টাওয়ারে তার স্বামীর প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে যায়। সেখানে তাকে অপমান করলে সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয়ে ৫ম তলার বারান্দা থেকে সে লাফ দেয় এবং পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।