চট্টগ্রাম

তৈরি পোশাকশিল্প শ্রমিক ও সন্তানদের চেক বিতরণ

নগরের বিজিএমইএ ভবনের মাহাবুব আলী হলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিলের অধীনে চট্টগ্রাম অঞ্চলের তৈরি পোশাক শিল্পের অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসা সহায়তা ও মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।

রোববার (৯ জুন) এ ‍উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার ১১১টি চেক হস্তান্তর করা হয়।

বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী ও কল কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি শিপন চৌধুরী।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার সফলভাবে বাস্তবায়নের পর আমরা এখন নতুন লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছি, সেটি হলো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- আগামী ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবেন; যা হবে একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী ও উন্নত বাংলাদেশ। তিনি ২০২১ থেকে ২০৪১ এর মধ্যে দেশের উন্নয়ন কাঠামো, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও রূপরেখা তুলে ধরেছেন। এখন শুধু প্রয়োজন বাস্তবায়ন আর এগিয়ে চলা।

কিন্তু বৈশ্বিক চলমান অর্থনৈতিক সংকটে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প বর্তমানে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ অবস্থায় জাতীয় রপ্তানির প্রধান খাত খ্যাত গার্মেন্টস শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার স্বার্থে এবং রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রপ্তানি খাতকে বিশেষভাবে প্রাধান্য দিতে হবে। অন্যথায় এই সেক্টর খুব দ্রুত মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শ্রমিকদের কল্যাণে বিজিএমইএ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন সেবামুখী কার্যক্রমের উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি সুন্দর বিনিয়োগ ও শিল্পবান্ধব স্থিতিশীল পরিবেশ পেলে আমাদের দেশকে সত্যিকার অর্থে সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প। তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশের গর্ব। এ শিল্প দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ রপ্তানি করে থাকে। দেশের ৪০ লাখ শ্রমিকের পাশাপাশি প্রায় ৪ কোটি মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এ শিল্প বাংলাদেশকে গোটা দুনিয়ায় নতুন করে পরিচিতি দিয়েছে। আমাদের রুটি রুজির প্রধান উৎস হলো শিল্প কারখানা, আর তৈরি পোশাক শিল্প কারখানা হলো আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম খাত। দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি গার্মেন্টস সেক্টরের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার সর্বদাই কাজ করে যাচ্ছে।

রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সালে শুরু হওয়া তৈরি পোশাক শিল্পের অসুস্থ শ্রমিক-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের অসুস্থ সদস্যদের চিকিৎসা সহায়তা ও শ্রমিকদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির চেক হস্তান্তরের মতো অনুষ্ঠানে আজকে সর্বাধিক ১১১টি চেক বিতরণ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d