দক্ষিণ চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট, যাত্রীদের দুর্ভোগ
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে ‘রুটপারমিটবিহীন’ বাস চলাচল বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে দক্ষিণ চট্টগ্রামে ২০টি সড়কে ১২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে ‘চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল-কক্সবাজার-বান্দরবান জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের’ ডাকে এ ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবান, কক্সবাজার জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার সড়কে বাস চলাচল বন্ধ আছে।
নগরের সিনেমা প্যালেস এসআলম কাউন্টার থেকে বাস পটিয়া, সাতকানিয়া, লোহাগড়া,বাঁশখালী ও আমিরাবাদে বাস যায়। সেখানেও সকালে কয়েকজন যাত্রীকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেল। এর মধ্যে অনেকেই ধর্মঘটের ব্যাপারে না জেনেই বাসা থেকে বের হয়েছেন। আবার কেউ কেউ জরুরি প্রয়োজনে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল-কক্সবাজার-বান্দরবান জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের’ জ্যেষ্ঠ্য যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মুছা বলেন, এর আগে গত ৯ অক্টোবর একই দাবিতে আমরা দুই ঘণ্টার প্রতীকী ধর্মঘট ডেকেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজ ১২ ঘণ্টার এ ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে।”
সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘট সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। ধর্মঘটের কারণে ঢাকা থেকে আসা বাস ছাড়া কক্সবাজার ও বান্দরবান সড়কে অন্য কোনো বাস চলাচল করছে না বলে জানান তিনি।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে আছে– সাধারণ বাসকে ডবল ডেকার বাস (স্লিপিং কোচ) বানিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-টেকনাফের অপ্রশস্থ সড়কে চলাচল নিষিদ্ধ করা, চট্টগ্রাম জেলার বাইরে থেকে আসা এসি/নন এসি বাসগুলোতে লোকাল রুটের যাত্রী পরিবহন বন্ধ, মহাসড়ক ও উপ-সড়কে সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা, ইজি বাইক, টমটম চলাচল বন্ধ করা, মহাসড়কের পাশে অবৈধ হাটবাজার উচ্ছেদ, ঢাকা-চট্টগ্রামে একই ট্রাফিক আইনে ‘জরিমানা বৈষম্য’ নিরসন, খোলা ট্রাকে লবণ পরিবহন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, পুলিশের ‘রিকুইজিশন বাণিজ্য’ বন্ধ করা, চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল সংস্কার ও কক্সবাজার পৌর বাস টার্মিনালে ময়লা আবর্জনার স্তূপ অবলম্বে পরিষ্কার করা।