অর্থনীতিচট্টগ্রাম

দস্যুতা কমেছে বিদেশি জাহাজে

এশিয়ায় সাগরে যখন বাড়ছে বিদেশি জাহাজে দস্যুতার ঘটনা, তখন বাংলাদেশ জলসীমায় দেখা গেছে উল্টো চিত্র। সদ্য বিদায়ী ২০২৩ সালে বছর জুড়ে এশিয়ায় ১৯ শতাংশ দস্যুতা কিংবা চুরির ঘটনা বাড়লেও বাংলাদেশে কমেছে। গেল বছর বাংলাদেশ জলসীমায় বিদেশি জাহাজে দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে মাত্র একটি। তবে ২০২২ সালে সেই সংখ্যা ছিল পাঁচটি। এশিয়ার বিভিন্ন সাগর ও বন্দরে বিদেশি জাহাজে ঘটা চুরি, ডাকাতি ও হামলার ঘটনা রেকর্ডকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা রিক্যাপ তাদের সম্প্রতি প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালে এশিয়ায় জাহাজে ঘটেছিল ৮৪টি ঘটনা, সেটি ২০২৩ সালে এসে বেড়ে দাঁড়ায় ১০০টিতে। যা শতকরা ১৯ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় ২০২২ সালে ১০টি ঘটনা ঘটলেও ২০২৩ সালে ঘটে ১৬টি ঘটনা। ফিলিপিনে ৪টি থেকে বেড়ে হয় ১০টি, সিঙ্গাপুরে ৫৫টি থেকে বেড়ে ৬৩টি, থাইল্যান্ডে ২০২২ শূন্য থেকে একটি ঘটনা, ভিয়েতনামে দুটি থেকে বেড়ে দাঁড়ায় তিনটিতে।

অন্যদিকে দস্যুতা কমার তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া। বাংলাদেশ পাঁচটি থেকে কমে হয়েছে একটি এবং মালয়েশিয়ায় দুইটি থেকে কমে হয়েছে একটি ঘটনা। এর বাইরে অপরিবর্তিত রয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। ২০২২ সালে ভারতে পাঁচটি ঘটনা ঘটে যা ২০২৩ সালেও একই ছিল।

বাংলাদেশে ঘটা একটি ঘটনার বর্ণনাতে উল্লেখ্য করা হয়- ২০২৩ সালের ২৪ মে ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজ এমটি সাকসেস এ চুরির ঘটনা ঘটে। পতেঙ্গায় অবস্থিত বন্দরের ডলফিন জেটি-৩ এ বার্থিংয়ে থাকা ওই তেলবাহী জাহাজে ৬ অস্ত্রধারী ব্যক্তি জাহাজে ওঠে। ঘটনার সাথে সাথে তাৎক্ষণিক জাহাজের মাস্টার কোস্টগার্ডকে খবর দেয়। পাশেই কোস্টগার্ডের ঘাঁটি থাকায় দ্রুত তারা উদ্ধার কাজে যুক্ত হয়। এসময় অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। জাহাজটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় তার স্টোররুমের তালা ভাঙা এবং জাহাজের ১০ ক্যান রং চুরি হয়। কোস্টগার্ড

জলে ও স্থলে অভিযান পরিচালনা করে ওই রং উদ্ধার করে জাহাজের মাস্টারকে বুঝিয়ে দেয়। বাংলাদেশ জলসীমায় দস্যুতার ঘটনা কমে যাওয়া প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষে সচিব মো. ওমর ফারুক পূর্বকোণকে বলেন, বাংলাদেশের জলসীমা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেব বেশি ঝুঁকিমুক্ত। গতবছর যেটি ঘটেছে সেটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাই বলা যায়। বড় কোন দুর্ঘটনা এখন আর বন্দরের জলসীমায় ঘটে না। আমাদের কোস্টগার্ড ও নৌ-বাহিনী এখন অনেক উন্নত ও তৎপর। তারা সব সময় বন্দর এলাকা ও সাগর পর্যবেক্ষণের রাখে। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়ছে বিদেশিদের কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d