খেলা

দিয়াস-লুনিন নৈপুণ্যে লাইপজিগকে হারাল রিয়াল

ঘরের মাঠে লাইপজিগ ছিল দুর্দান্ত। সমানে সমানে লড়াই করে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে। কিন্তু রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন দল হাল ছেড়ে দেয়নি। ব্রাহিম দিয়াসের গোলের পর আন্দ্রে লুনিনের অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।

রেড বুল অ্যারেনায় গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ১-০ ব্যবধানে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একমাত্র গোলটি করেন দিয়াস। যদিও শেষদিকে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় এই তারকাকে। যেটি দুঃসংবাদ বয়ে নিয়ে আনতে পারে রিয়ালের জন্য।

লা লিগায় সর্বশেষ ম্যাচে জিরোনার বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়ে এই ম্যাচ থেকে ছিটকে যান জুড বেলিংহ্যাম। তার বদলি হয়েই মাঠে নামেন দিয়াস। দারুণ খেললেও চোটের কারণে পরবর্তী ম্যাচে তাকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। দলটির অবশ্য ইনজুরির তারকা বেশ লম্বা। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন ছাড়াই খেলতে হচ্ছে তাদের।

ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত লাইপজিগ। দ্বিতীয় মিনিটে বেনইয়ামি সিসকো হেডে বল জালে পাঠান। অফসাইডের কারণে গোলটি আর কাউন্ট হয়নি। নবম মিনিটে নিজেদের প্রথম সুযোগ পায় সফরকারীরা। যদিও বক্সের ভেতর থেকে করা কামাভিঙ্গার শট ঠেকিয়ে দেন লাইপজিগ গোলরক্ষক। প্রথমার্ধ জুড়ে দুদল বেশ কয়েকবার আক্রমণ করলেও কেউ পায়নি গোলের দেখা।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। দানি কারভাহালের বাড়িয়ে দেওয়া বল প্রতিপক্ষের তিনজনকে কাটিয়ে বক্স থেকে চোখধাঁধানো এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন দিয়াস। গোলরক্ষকের নাগালে না থাকা এই আশ্রয় নেয় দূরের পোস্ট দিয়ে। গোল করেই চোট পাওয়া বেলিংহ্যামের মতো দুই হাত দুই দিকে বাড়িয়ে উদযাপন করেন তিনি।

সমতায় ফিরতে মরিয়া লাইপজিগ এরপর থেমে থাকেনি। একের পর এক আক্রমণের পরেও আন্দ্রে লুনিনের রক্ষণদেয়াল ভেদ করতে পারেনি তারা। ম্যাচজুড়ে রিয়ালের এই গোলরক্ষক মোট ৯টি সেভ দিয়েছেন। নকআউট পর্বে কোর্তোয়ার সঙ্গে যৌথভাবে এখন সর্বোচ্চ সেভ দেওয়ার রেকর্ড তার।

ফিরতি লেগে আগামী ৬ মার্চ রিয়ালের মাঠে নামবে লাইপজিগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d