জাতীয়রাজনীতি

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলার ভোট মঙ্গলবার (২১ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় তা শেষ হয়।

ভোটগ্রহণ চলাকালে জালভোট, এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ নানা ধরনের অনিয়ম হলেও বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভোট শেষ হওয়ার পর কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় একজনকে ছুরি মেরে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিন ১৫৬ উপজেলার মধ্যে ২৪ উপজেলায় ভোট হয়েছে ইভিএমে। বাকিগুলোতে ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ৭টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা সবাই বিনাভোটে জয়ী হয়েছেন।

নোয়াখালী: দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বেঙ্গল গ্রুপ ও আরটিভির পরিচালক সাইফুল আলম দিপু। আনারস প্রতীকে সাইফুল আলম দিপু ৩২ হাজার ১৩২ পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেনবাগ পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু জাফর টিপু পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩৪ ভোট।

অন্যদিকে, চাটখিল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির দোয়াত কলম প্রতীকে ৬৫ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জেড এম আজাদ খান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ২৬৭ ভোট। সোনাইমুড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাবুল আনারস প্রতীকে ৭৭ হাজার ১৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো.মোমিনুল ইসলাম হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৭৮১ ভোট।

জানা গেছে, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাপ্তাই উপজেলায় সুইপ্রু মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিউটি হোসেন বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রাজস্থলী উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারাধন কর্মকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা-লীগের নেত্রী গৌতমী খিয়াং। বিলাইছড়ি উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বংকিম তংচঙ্গ্যা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুদিপ্তা তংচঙ্গ্যা বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

মাগুরা: জেলার দুটি উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহম্মদপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আবদুল মান্নান ও শালিখা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট শ্যামল কুমার দে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। প্রার্থীদের এজেন্ট ও স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, মহম্মদপুর উপজেলায় ৬৪টি ও শ্রীপুর উপজেলায় ৫৪টি কেন্দ্র ৮৫০টি বুথে ভোট গ্রহণ হয়। মহম্মদপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬২জন ও শালিখা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৫ জন। ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৫০শতাংশ।

পিরোজপুর: দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পিরোজপুরে দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নেছারাবাদ উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ আব্দুল হক আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৮ হাজার ৬শত ১২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫শত ২০ ভোট। অন্যদিকে, কাউখালি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু সাঈদ মিঞা ১১ হাজার ২শত ৮৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাপ প্রিচ প্রতীকের মনিরুজ্জামান পেয়েছেন ৬ হাজার ১শত ৯৪ ভোট।

সুনামগঞ্জ: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও তাহিরপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাচনাবাজার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মুরাদ ও আপ্তাব উদ্দিন।

জানা গেছে, রেজাউল করিম শামীম মোটরসাইকেল প্রতীকে ২৯ হাজার ১১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার এক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল আল আজাদ (ঘোড়া প্রতীক) পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫৩১ ভোট। ধর্মপাশা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মুরাদ। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ১৮ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা নাসরিন সুলতানা দিপা ৭ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৬২৫ ভোট। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আপ্তাব উদ্দিন। তিনি আনারস প্রতীকে ৩৬ হাজার ৫১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আবুল হোসেন খান কাপ পিরিছ প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৬৪০ ভোট।

পাবনা: জেলার ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম হাসনায়েন রাসেল ও খলিলুর রহমান। বেসরকারি ফলাফলে ৪৫ কেন্দ্রের সম্পূর্ণ গণনায় রাসেল মোটরসাইকেল মার্কা প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৫৫৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম মেজবাহুর রহমান রোজ ঘোড়া মার্কা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৬৭৯ ভোট। ফরিদপুর উপজেলা নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে ৪৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টির আংশিক ফলাফলে খলিলুর রহমান দোয়াত কলম মার্কা প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার৭৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কালাম আজাদ মোটরসাইকেল মার্কা প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০৭ ভোট। চাটমোহর উপজেলায় আওয়ামী লীগের মির্জা রেজাউল করিম দুলাল (আনারস) প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৩৫ হাজার ৪৪০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইদুল ইসলাম চৌধুরী (ঘোড়া) ৪৭ হাজার ৫৩ ভোট পেয়েছেন।

কুষ্টিয়া: জেলার চার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। কুমারখালীতে আব্দুল মান্নান খান, মিরপুরে আব্দুল হালিম, দৌলতপুরে বুলবুল আহমেদ চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। আর ভেড়ামারা উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল বিজয়ী হয়েছেন। কুমারখালী উপজেলায় আব্দুল মান্নান খান আনারস প্রতীকে ৬২ হাজার ৫৫৬ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আব্দুল মান্নান খান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি গোলাম জিলানী নজরে মুর্শেদ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪৩ হাজার ২৮৮ ভোট পেয়েছেন। মিরপুর উপজেলা পরিষদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম প্রথমবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি ৭১ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কামাল হোসেন আনারস প্রতীকে ২৫ হাজার ৩৪০ ভোট পেয়েছেন। দৌলতপুর উপজেলা পরিষদে প্রথমবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর ভাই বুলবুল আহমেদ চৌধুরী (টোকেন)। আনারস প্রতীকে তিনি ৯৭ হাজার ২৮৯ ভোট পেয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি আনিসুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে ৫ হাজার৩৭৬ ভোট পেয়েছেন। তিনি বিকেলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। আর ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদে প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথমবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল। মুকুল ভেড়ামারা শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি।

চাঁদপুর: জেলার সদর, হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলায় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মো. হুমায়ুন কবির, হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে হেলাল উদ্দিন মিয়াজী ও শাহরাস্তি উপজেলায় ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মকবুল হোসেন পাটোয়ারী বেরসকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রাপ্ত ফলাফলে জানাগেছে, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৩৪টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মো. হুমায়ুন কবির ৫০ হাজার ৪৯৫ পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. আইয়ুব আলী পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৫৩। হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮৮টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মো. হেলাল উদ্দিন ২৬ হাজার ৫৮৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. জসিম পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭০ ভোট। শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মকবুল হোসেন পাটোয়ারী ৩২ হাজার ৬৭৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি মো. ওমর ফারুক পেয়েছেন ২৬ হাজার ৯৮ ভোট।

ময়মনসিংহ: জেলার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নির্বাচিত হয়েছেন আবু সাঈদ। দোয়াত কলম প্রতীকে ৪৫ হাজার ৭১৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন ঘোড়া প্রতীকে ৪০ হাজার ৫৫৭ ভোট পেয়েছেন। মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আব্দুল হাই আকন্দ হেলিকপ্টার প্রতীকে ৬৭ হাজার ২০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আরব আলী দোয়াত কলম প্রতীকে ১৮ হাজার ৩০০ ভোট পেয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা: জেলার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। ঘোড়া প্রতীকে ৫০ হাজার ৭৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজিজুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৪ হাজার ৮৩৩ ভোট পেয়েছেন। আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কে এম মঞ্জিলুর রহমান। মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪০ হাজার ২৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জিল্লুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে ২৬ হাজার ২৮৭ ভোট পেয়েছেন।

সিলেট: জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মজির উদ্দিন। আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম আহমদ মোটরসাইকেল প্রতীকে ২১ হাজার ৯১১ ভোট পেয়েছেন। জেলার জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীকধারী লিয়াকত আলী। তিনি ৩৭ হাজার ৫ ভোট পেয়েছেন। তার তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাপ পিরিচ প্রতীকের আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৫৬ ভোট। গোয়াইনঘাট উপজেলায় ঘোড়া প্রতীকধারী শাহ আলম স্বপন ৪৫ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটমতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকধারী বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ পেয়েছেন ২৬ হাজার ৭৭০ ভোট।

মে‌হেরপুর: জেলার গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এম এ খা‌লেক। আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোখ‌লেছুর রহমান মুকুল হে‌লিকপ্টার প্রতীকে ৩৯ হাজার ৪২২ ভোট পেয়েছেন।

নীলফামারী: জেলার জলঢাকা ও সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আনসার আলী মিন্টু ও রিয়াদ আরফান সরকার। ঘোড়া প্রতীকে ৩৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আনসার আলী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম আজম এলিচ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩১ হাজার ৪৬ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে, সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রিয়াদ আরফান সরকার। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩২ হাজার ৩৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজমল হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ১৭২ ভোট। কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচিত হয়েছেন ঘোড়া প্রতীকের মো. রশিদুল ইসলাম। তিনি ২৮ হাজার ৩৪৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনারস প্রতীকের আবুল কালম আব্দুর বারী পেয়েছেন ২৮ হাজার ২০১ ভোট।

কুমিল্লা: জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল হাই বাবলু। হেলিকপ্টার প্রতীকে ২০ হাজার ৮৬৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আক্তারুজ্জামান রিপন আনারস প্রতীকে ১৪ হাজার ৭৯০ ভোট পেয়েছেন।

নওগাঁ: জেলার পোরশা, সাপাহা ও নিয়ামতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শাহজাহান হোসেন মন্ডল (আনারস), মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী (কাপ পিরিচ) ও ফরিদ আহমেদ ( মোটরসাইকেল)।

ভোলা: জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ ইউনুছ (মোটরসাইকেল- ৩৩,১৫৫ ভোট), মোঃ জাফর উল্লাহ (আনারস- ২৯৭১৬ ভোট) ও মনজুর আলম খান (কাপপিরিচ- ১৩৭৩৫ ভোট)।

ফরিদপুর: জেলার নগরকান্দা উপজেলায় শাহ জামান বাবুল বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩৭ হাজার ২০৯। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মনিরুজ্জামান সরদার মটর সাইকেল প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ২৫ হাজার ২৩৭। অন্যদিকে সালথা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৪৫ ভোট । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. ওহিদুজ্জামান পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট।

সিরাজগঞ্জ: জেলার উল্লাপাড়া ও তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সেলিনা মির্জা মুক্তি ও মনিরুজ্জামান মনি। মোটরসাইকেল প্রতীকে ৮৮ হাজার ১৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মুক্তি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নবী নেওয়াজ খান বিনু হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৬১ ভোট। অন্যদিকে, দোয়াত কলম প্রতীকে ৪০ হাজার ১৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী সন্জিত কর্মকার পেয়েছেন ৩৫,৬২৭ ভোট।

বা‌গেরহাট: জেলার চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফ‌কিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবু জাফর মো: আলমগীর হো‌সেন (হো‌সেন দোয়াত কলম ৯ হাজার ৪৫৬ ভোট), শাহীনুল আলম ছানা (দোয়াত কলম ৭হাজার ৬০৮ ভোট) ও শেখ অ‌হিদুজ্জামান (দোয়াত কলম ২১ হাজার ৮৫০ ভোট)।

নেত্রকোণা: জেলার পূর্বধলা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এটিএম ফয়জুর সিরাজ জুয়েল। মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৯ হাজার ৩১০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসাদুজ্জামান নয়ন দোয়াত কলম প্রতীকে ২৮ হাজার ৭৭৬ ভোট পেয়েছেন।

দিনাজপুর: জেলার বিরল, বীরগঞ্জ, কাহারোল ও বোচাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, আবু হোসাইন বিপু, এ কে এম ফারুক ও আফসার আলী।

বিরল উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক একে এম মোস্তাফিজুর রহমান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫০৩২ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪১ হাজার ২৬২ ভোট। বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আবু হোসাইন বিপু আনারস প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী পরিষদের সদস্য আবু হোসাইন বিপু পেয়েছেন ৪৫,৩০৬ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩২৪১৮ ভোট। কাহারোল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে এ কে এম ফারুক দোয়াত কলম প্রতীকে ৩২ হাজার ৩৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরমান সরকার মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫৬৭। বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আফসার আলী ঘোড়া মার্কা প্রতীকে ভোট পেয়ে ৪৬ হাজার ৩৪৭। তার নিকট নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জুলফিকার হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪০৮।

ঠাকুরগাঁও: জেলার রানীশংকৈল উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আহমেদ হোসেন বিপ্লব ঘোড়া মার্কা ৪৪ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শইদুল হক আনারস মার্কা পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১৮০ ভোট ও আব্দুল কাদের মোটরসাইকেল ৩২ হাজার ২৩৫ ভোট।

ঝিনাইদহ: জেলার হরিণাকুন্ডু ও শৈলকুপা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সাইফুল ইসলাম টিপু ও মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু। হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাইফুল ইসলাম টিপু ৩৪ হাজার ৩০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী রানা হামিদ ২৩ হাজার ৫৯২ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে, শৈলকুপা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু ৭৩ হাজার ৬৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী শামিম হোসেন ৭১ হাজার ৮৮০ ভোট পেয়েছেন।

বরশুনা: জেলার সদর ও বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. মনিরুল ইসলাম ও মো. খলিলুল রহমান খান। মনিরুল ভোট পেয়েছেন, ৩৮ হাজার ৮১২। তার নিকটতম প্রার্থী এনামুল হক শাহিন (ঘোড়া) পেয়েছেন, ৩৬ হাজার ৭৭৯ ভোট। শাহ মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ (মটর সাইকেল) পেয়েছেন, ১৯ হাজার ৪৯ ভোট। অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হালিম (কাপ প্রিচ) ১ হাজার ৬৮৪ ও ইমরান হোসেন রাসেল (হেলিকপ্টার) পেয়েছেন, ২৩৮ ভোট। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল হাই আল হাদী তাকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষনা করেছেন। মোটরসাইকেল প্রতীক ১২ হাজার ৩২১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন খলিলুল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি খ.ম. ফাহরিয়া সংগ্রাম আমিনুল পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৮ ভোট।

ঝালকাঠি: জেলার সদরে সদরে আনারস প্রতীক নিয়ে খান আরিফুর রহমান এবং নলছিটি উপজেলায় সালাহউদ্দিন খান সেলিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। সদরে খান আরিফুর রহমান ৩৩ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সুলতান হোসেন খান পেয়েছেন ২৫ হাজার ৯৭১ ভোট। নলছিটি উপজেলায় সালাহউদ্দিন খান সেলিম ২৩ হাজার ৯৩৯, ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি তসলিম উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭৮৪ ভোট।

রাজশাহী: জেলার বাগমারায় জাকিরুল ইসলাম সান্টু, দুর্গাপুরে শরিফুজ্জামান শরীফ ও পুঠিয়ায় আব্দুস সামাদ বিজয়ী হয়েছেন। দেখা গেছে, বাগমারা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম সান্টু ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৪৭ হাজার ৩২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক সরকার ওরফে আর্ট বাবু আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৩২১ ভোট। একই সাথে মোটরসাইকেল প্রতীকে নাসিমা আক্তার পেয়েছে ২ হাজার ৬৪ ভোট।

অন্যদিকে বাগমারা উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এরমধ্যে কলস প্রতীকে কহিনুর বানু ৪১ হাজার ৭২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে মমতাজ আক্তার বেবি পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৪৭ ভোট এবং ফুটবল প্রতীক নিয়ে সহকারি অধ্যাপিকা শাহিনূর খাতুন পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৬৮ ভোট। এদিকে বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় শহিদুল ইসলাম শহীদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

দুর্গাপুর উপজেলায় শরিফুজ্জামান শরীফ মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে ৪২ হাজার ১১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারীবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল মজিদ সরদার ঘোড়া প্রতিক নিয়ে পেছেন পেয়েছেন ২৭ হাজার ৩৭২ ভোট। দুর্গাপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতিকে আব্দুল কাদের মোল্লা ৪ হাজার ৪৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৪ হাজার ৮২৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শামীম ফিরোজ তালা প্রতিকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৩৫১ ভোট। সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বানেছা বেগম ৫৬১ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ফুটবল প্রতিকে ভোট পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৭৬৭ টি। তার নিকটতম প্রার্থী কোহিনুর বেগম কলস প্রতিকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৩০৬ ভোট। রাত পৌনে নয়টায় ফলাফল ঘোষণা করেন দুর্গাপুরের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামানিক।

আর পুঠিয়া উপজেলায় আব্দুস সামাদ আনারস প্রতিক নিয়ে ২৬হাজার ৬৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আহসান উল হক মাসুদ ঘোড়া মার্কা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬৭৯ ভোট ও জিএম হিরা বাচ্চু মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৯ হাজার ৮৭২ ভোট।

রংপুর: জেলার মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিঠাপুকুর উপজেলায় প্রথমবার চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক যুবলীগ নেতা মো. কামরুজ্জামান কামরু। হেলিকপ্টার প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭০ হাজার ৮৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহার হোসেন মন্ডল মওলা মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৭৫৮ ভোট। অন্যদিকে পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা নূর মোহাম্মদ মণ্ডল। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৫৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা মোকাররম হোসেন চৌধুরী জাহাঙ্গীর ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৮১ ভোট।

নারায়ণগঞ্জ: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। ঘোড়া প্রতীকে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ২৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহজালাল মিয়া পেয়েছেন ১৩ হাজার ১৩২ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়ায় উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কসবা উপজেলায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান ও আখাউড়ায় মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান মনির হোসেন বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাাচিত হয়েছেন।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, কসবা উপজেলায় ছায়েদুর রহমান স্বপন কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৮৬ হাজার ৬৯৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কুটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব রাশেদুল কাউসার ভূইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৯ ভোট। অন্যদিকে, আখাউড়া উপজেলায় মনির হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৬৩ ভোট।

লালমনিরহাট: জেলার কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। দুই উপজেলায় মধ্যে আদিতমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ফারুক ইমরুল কায়েস ও কালীগঞ্জ উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ বিজয়ী হয়েছেন।

আদিতমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ফারুক ইমরুল কায়েস মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ১৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৮টি ভোট। কালীগঞ্জ উপজেলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩০৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তার চাচা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩৫০ ভোট।

যশোর: জেলার ঝিকরগাছা, শার্শা ও চৌগাছা উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। চৌগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান পেয়েছেন ২৮ হাজার ৯৮০ ভোট। ঝিকরগাছা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম। আনারস প্রতীকে মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম রেজা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৪৩ ভোট। অন্যদিকে শার্শা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. সোহরাব হোসেন দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ৫৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. অহিদুজ্জামান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ২৯১ ভোট।

সাতক্ষীরা: জেলার আশাশুনি, তালা ও দেবহাটা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চিংড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৫১ হাজার ৬৬২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহনেওয়াজ ডালিম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৭০৭ ভোট। অপরদিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা নির্বাচনে মো. আল ফেরদাউস বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হেলিকপ্টার প্রতীকে ২৬ হাজার ৩৭৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মজিবুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৫২ ভোট। এ ছাড়া সাতক্ষীরার তালা উপজেলা নির্বাচনে ঘোষ সনৎ কুমার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীকে ৪৬ হাজার ৪৫৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সরদার মশিয়ার চিংড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪১৩ ভোট।

খুলনা: জেলার ফুলতলা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলায় সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচনে ফুলতলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২১ হাজার ৮২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো. সাব্বির হোসেন পেয়েছেন ১৬ হাজার ৮৪ ভোট। এদিকে তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নতুন মুখ জেলা মৎস্যজীবী লীগের সহ সভাপতি আবুল হাসান শেখ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ১৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মো. সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু পেয়েছেন ২২ হাজার ৭৩৮ ভোট। এ ছাড়া দিঘলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক শেখ মারুফুল ইসলাম। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৪২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন মল্লিক পেয়েছেন ১৬ হাজার ২৭৩ ভোট।

টাঙ্গাইল: জেলার ভূঞাপুরে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান নার্গিস বেগম পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও ঘাটাইলে আরিফ হোসেন ও কালিহাতীতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এএসএম সিদ্দিকী ওরফে আজাদ সিদ্দিকী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। কালিহাতী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ভাই এস এ এম সিদ্দিকী (আজাদ সিদ্দিকী) (আনারস) প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা (মোটরসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৬৮৫ ভোট। এছাড়া ঘাটাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মুহাম্মদ আরিফ হোসেন (আনারস) প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫২ হাজার ৩১৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো: লোকমান হোসেন (মোটরসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছেন ৪১ হাজার ৯৫৩ ভোট।

মৌলভীবাজার: জেলার রাজনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাজাহান খান কাপ পিরিচ প্রতীকে ৪৪ হাজার ৪৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রওনক আহমেদ (মোটরসাইকেল) ২৪ হাজার ৩ ভোট পেয়েছেন।

গাজিপুর: জেলার কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাচনে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে ৮৩ হাজার ৯৬১ ভোট পেয়ে সেলিম আজাদ বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীক ভোট পেয়েছেন ৬২ হাজার ৩০৪। ফলে ২১ হাজার ৬৫৭ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীক সেলিম আজাদ।

হবিগঞ্জ: জেলার নবীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু চিংড়ি প্রতীকে জয়ী হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পান ২৭ হাজার ৯৯১টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৭০১ ভোট। অন্যদিকে হবিগঞ্জের বাহুবলে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা আনোয়ার হোসেন দোয়াত কলম প্রতীকে জয়ী হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পান ১৮ হাজার ৬৮২টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৭৮৪ ভোট।

লক্ষ্মীপুর: জেলার রামগঞ্জ ও রায়পুরে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইমতিয়াজ আরাফাত ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মামুনুর রশিদ। ঘোষিত ফলাফলে জানা গেছে, রামগঞ্জে মো. ইমতিয়াজ আরাফাত ৪৪ হাজার ৮ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু (মোটরসাইকেল) ২৬ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়েছেন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চার জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ ছাড়া রায়পুরে মামুনুর রশিদ ৩৬ হাজার ৫৩৬ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদার (মোটরসাইকেল) ৩৩ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়েছেন।

শরীয়তপুর: জেলার সদর ও জাজিরা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কামরুজ্জামান উজ্জ্বল আখন্দ ও জাজিরা উপজেলায় মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী। সদর উপজেলার ১ লাখ ৯১ হাজার ৭১৮ ভোটারের মধ্যে ঘোড়া প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪১ হাজার ৫৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আমিন কোতোয়াল পেয়েছেন ১৭ হাজার ২৬৭ ভোট। অন্যদিকে জাজিরা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী। উপজেলার ১ লাখ ৭৮ হাজার ১৮০ ভোটারের মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৮৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এস এম আমিনুল ইসলাম রতন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ১৫৩ ভোট।

কুড়িগ্রাম: জেলার ৩টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সদর উপজেলা থেকে জেলা আ’লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আনারস প্রতীক নিয়ে মঞ্জুরুল ইসলাম রতন ৫২ হাজার ৪৪ ভোট পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুকে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট পান ২৯হাজার ৮৩ভোট। অপরদিকে, উলিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আ’লীগের সাবেক নেতা ও সাবেক আ’লীগ দলীয় এমপি আমজাদ হোসেন তালুকদারের ছেলে সাজাদুর রহমান তালুকদার সাজু আনারস প্রতীক নিয়ে ৫০হাজার ৪৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উলিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ১৫ হাজার ৮৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। এছাড়া রাজারহাট উপজেলায় ৩৮ হাজার ২৩ ভোট পেয়ে পুণরায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সদস্য, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি। তিনি মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে রাজারহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু নুর মো. আক্তারুজ্জামানকে ১৯ হাজার ৪৬৬ ভোটে পরাজিত করেন।তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ভোট পান ১৮হাজার ৫৫৭ ভোট।

বগুড়া: কাহালুতে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান হাসিবুল হাসান সুরুজ আনারাস প্রতীকে ৩৮ হাজার ৩৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মান্নান মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৯৪৬ ভোট। অন্যদিকে, দুপচাঁচিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আহম্মেদুর রহমান বিপ্লব মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৭ হাজার ৫৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফজলুল হকে আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৪২৯ ভোট। আদমদীঘিতে চেয়ারম্যান পদে সিরাজুল ইসলাম খান রাজু আনারস প্রতীকে ৩৯ হাজার ৮৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাশেদুল ইসলাম রাজা মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ১২৮ ভোট।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে সৈয়দ নজরুল ইসলাম খান কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৮১ হাজার ৮৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহসীন আলী মিয়া মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৬৭ হাজার ২০ ভোট।

নড়াইল: জেলার সদর উপজেলা নির্বাচনে আজিজুর রহমান ভুইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৪৫ হাজার ৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী তোফায়েল মাহামুদ তুফান পেয়েছেন ৪২ হাজার ৩০৬ ভোট। এই উপজেলায় ভোটের হার ৩৭.৪৯ ভাগ। এদিকে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এ কে এম ফয়জুল হক ৩৯ হাজার ৬৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী এস এ হান্নান রুনু পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬০০ ভোট।

জয়পুরহাট: জেলার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে হাসানুজ্জামান মিঠু (মোটর সাইকেল মার্কা) এবং পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাবেকুন নাহার শিখা ( ঘোড়া মার্কা) প্রতিক নিয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত।

মাদারীপুর: জেলার কালকিনিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী তৌফিকুজ্জামান শাহীন ৩৬ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুজ্জামান সরদার পেয়েছেন ১১ হাজার ৯১৬ ভোট। তৌফিকুজ্জামান শাহীন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান।

গোপালগঞ্জ: জেলার কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাশিয়ানী উপজেলায় দোয়াত কলম প্রতিক নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোক্তার হোসেন এবং মুকসুদপুর উপজেলা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মো. কাবির মিয়া বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ফলাফলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোক্তার হোসেন দোয়াত কলম প্রতিক নিয়ে ৩২ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মুন্সি ফররুখ হোসাইন মিন্টু আনারস প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২৮ হাজার ১১২ ভোট। কাজী নুরুল আমিন মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫৫৭ ভোট। এদিকে মুকসুদপুর উপজেলায় রয়েছে ৯৬টি কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রের ফলাফলে মো. কাবির মিয়া ঘোড়া প্রতিক নিয়ে ৫৪ হাজার ৫৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম এম মহিউদ্দিন আহম্মদ মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৮১১ ভোট। আবুল কাসেম রাজ দোয়াত কলম প্রতিক নিয়ে পান ২৮ হাজার ৫৪২ ভোট। মো. কাইমুজ্জামান রানা আনারস প্রতিক নিয়ে পান ৩ হাজার ২১৫ ভোট।

পঞ্চগড়: জেলার বোদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পুনরায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম টবি ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাবেক নেতা (সদ্য বহিস্কৃত) হাবীব আল আমিন ফেরদৌস আনারস পেয়েছেন ২৩ হাজার ১০৮ ভোট। এদিকে দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি (বহিস্কৃত) হেলিকপ্টার প্রতীকে ৩৪ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানাত জামান চৌধুরী জর্জ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৭০৩ ভোট।

মুন্সীগঞ্জ: জেলার টঙ্গীবাড়ী ও লৌহজং উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। লৌহজং উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বি এম শোয়েব দোয়াত কলম প্রতীকে ৫৬ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুর রশিদ শিকদার কাপ পিরিচ প্রতীকে ৩৫ হাজার ৬৫৩ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আরিফুল ইসলাম হালদার হেলিকপ্টার ৩৯ হাজার ৯৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইঞ্জিনিয়ার কাজী আব্দুল ওয়াহিদ কাপ পিরিচ পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৮৮ ভোট।

গাইবান্ধা: জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এ কে এম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।

চট্টগ্রাম: জেলার হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে। হাটহাজারী থেকে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইউনুস গনি চৌধুরী আনারস প্রতীকে ৩৬ হাজার ৭৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন চৌধুরী ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৫ ভোট। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান পদে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ৫৯ হাজার ১৬৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন মুহুরী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি তিনিও আওয়ামী লীগের নেতা মো. বখতিয়ার সাঈদ ইরান পেয়েছেন ৪১ হাজার ৭৬৭ ভোট।

কক্সবাজার: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও জিততে পারেননি কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম। দোয়াত কলম মার্কার ফজলুল করিম সাঈদী ৫৬ হাজার ১২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে সাবেক সংসদ সদস্য ঘোড়া মার্কার প্রার্থী জাফর আলম পেয়েছেন ৫২ হাজার ২৫২ ভোট।

রাঙ্গামাটি: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে রাঙ্গামাটির তিন উপজেলায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ্তাই উপজেলায় মো. নাসির উদ্দিন, রাজস্থলী উপজেলায় উবাচ মারমা ও বিলাইছড়ি উপজেলায় বিরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা।

বান্দরবান: জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৫ হাজার ১৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তোফাইল আহামদ।

খাগড়াছড়ি: জেলার সদর উপজেলা পরিষদে মো: দিদারুল আলম (আনারস), পানছড়ি উপজেলা পরিষদে চন্দ্র দেব চাকমা (কাপ-পিরিচ) ও দীঘিনালা উপজেলা পরিষদে ধর্মজ্যোতি চাকমা (মোটরসাইকেল) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: দিদারুল আলম (আনারস) ১৬ হাজার ৮৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী কল্যাণ পরিষদের নেতা সন্তোষিত চাকমা (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৬৫ ভোট। পানছড়ি উপজেলা পরিষদের ইউপিডিএফ (প্রসীত গ্রুপ) সমর্থিত চন্দ্র দেব চাকমা (কাপ-পিরিচ) ২৪ হাজার ৮৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিটন চাকমা (আনারস) পেয়েছেন ১৬ হাজার ভোট। দীঘিনালা উপজেলা পরিষদে ইউপিডিএফ (প্রসীত) সমর্থিত ধর্মজ্যোতি চাকমা (মোটরসাইকেল) ৩৩ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো: কাশেম (আনারস) পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৮৭ ভোট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d