নবনির্মিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্পের ৪ পিলারে ফাটল
চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্পের চারটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। লালখানবাজার এলাকার সরকারি অফিসার্স কলোনির সামনে নামা এই র্যাম্পের পিলারে এসব ফাটল দেখা যায়। ফাটলগুলো জিওব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিয়ে সেগুলো মেরামতের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তবে প্রকল্প-সংশ্লিষ্টদের দাবি, এগুলো কোনো গভীর ফাটল নয়, হেয়ারলাইন ক্র্যাক। এমন ফাটল যে কোনো নির্মাণাধীন অবকাঠামোতে হওয়া স্বাভাবিক। এতে অবকাঠামোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
এ সম্পর্কে জানতে জাইলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পের পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, এটি হেয়ারলাইন ক্র্যাক (ফাটল)। নানা কারণে নির্মাণাধীন এমন অবকাঠামোতে এ রকম ফাটল হয়ে থাকে। এটা গভীর কোনো ফাটল বা বড় কোনো কিছু নয়। এটি আমরা ঠিক করে ফেলব। এই ফাটলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৪ নভেম্বর নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৫ দশমিক ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় সাড়ে ৪ মাস আগে নগরীর দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি উদ্বোধন করা হলেও নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় এখনো যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়নি। বিমানবন্দরকেন্দ্রিক যানজট নিরসনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে সিডিএ। তিন হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায়। পরবর্তীতে যার ব্যয় বেড়ে হয় ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।