নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রতি আসনে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসক
আর ক’দিন পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। চট্টগ্রামজুড়ে তৈরি হয়ে নির্বাচনী আমেজ। তবে এরইমধ্যে কিছু স্থানে ঘটেছে অপ্রীতিকর ঘটনা।
এমন পরিস্থিতিতে শতভাগ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ এবং আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রায় প্রতিটি আসনে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
সেই সঙ্গে মতবিনিময় করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে। সভায় স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ করছেন প্রার্থীরা। জেলা প্রশাসক শুনছেন তাদের অভিযোগ-অনুযোগ। নির্বাচনী আচরণবিধি পালনে দিচ্ছেন কঠোর বার্তা।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) এ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তাঁর আহ্বানে চট্টগ্রাম-৩ আসনের ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীই এসেছেন সভায়। এসব প্রার্থীদের সঙ্গে আসেন পাঁচজন করে সমর্থন ও প্রস্তাবকারী।
এ সময় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), চট্টগ্রাম, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকতা উপস্থিত ছিলেন।
সন্দ্বীপের পর ২৪ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান যাবেন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাতকানিয়ায় ও চট্টগ্রাম-১২ আসনে পটিয়া। ২৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-১ আসনে মীরসরাই ও ২৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-১৫ আসনের লোহাগাড়া ও চট্টগ্রাম-১৪ আসনে চন্দনাইশে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ে মতবিনিময় করবেন।
জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, সোমবার প্রতীক বরাদ্দ চুড়ান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে। এ সময় অনেক প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের অনেক অভিযোগ পাওয়া যায় বা লক্ষ্য করা গেছে। সেলক্ষ্যে জেলা রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সহ অন্যান্য আরও কর্মকর্তা সন্দ্বীপ উপজেলার ৮ জন প্রার্থী সহ প্রস্তাব ও সমর্থনকারী সকলের সঙ্গে আচরণ বিধিমালা নিয়ে মতবিনিময় করা হয়। এতে সকল প্রার্থী এবং তাঁর অনুসারী, সমর্থক, প্রচার-প্রচারণাকারীকে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়।