খেলা

পরিচালক নির্বাচিত না হয়ে কেউই বোর্ড সভাপতি হতে পারবেনা

প্রায় এক যুগ ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন নাজমুল হাসান পাপন। একই সঙ্গে রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবার জয়ী হন পাপন। এরপর তাকে দেওয়া হয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রলায়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব। সাধারণত ক্রিকেট বোর্ডসহ সব ফেডারেশনেরই অভিভাবক থাকেন ক্রীড়া মন্ত্রী। এখন একসঙ্গে দুটি কাজ করায় ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ হয় কি না এমন প্রশ্ন আছে অনেকের।

তবে গতকাল শুক্রবার পাপন বলেছেন একসঙ্গে দুই দায়িত্ব পালনে আইনি বাধা কোন নেই।

তিনি বলেন, আইনে কোনো সমস্যা নেই এটাই হচ্ছে বড় কথা। এরপর কথা হচ্ছে একসাথে যদি দুটোতে থাকি তাহলে একটা স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে ক্রিকেটের প্রতি আমার দৃষ্টিটা একটু বেশি। এটা সকলের ধারণা । আর এটা অস্বাভাবিক কিছু না। যদিও আমি বলে রাখি, আমি যদি এই ক্রিকেট বোর্ড বা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে নাও থাকি তাও ক্রিকেট সবসময় আমার সাথে থাকবে। এটা মন থেকে আর সরানো যাবে না। তবে ভালো হয় যদি আলাদা হয়ে যায়। আলাদা হয়ে গেলে ভালো হবে কারণ তাহলে আর মানুষের মধ্যে ওই সন্দেহটা হবে না যে হয়তো ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ আমি গুরুত্ব সবগুলোকে দিতে চাই। তবে প্রায়োরিটি ভিত্তিক।

তবে খুব দ্রুতই যে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়বেন এটি মোটামুটি নিশ্চিত। তখন কে হবেন বিসিবি সভাপতি? এমন জিজ্ঞাসাও আছে অনেকের। বোর্ডের পরিচালক ছাড়া কারও সভাপতি হওয়ার সুযোগ নেই বলে স্পষ্ট করেছেন পাপন।

তিনি বলেন, এখানে বেসিক কয়েকটা ব্যাপার আছে। প্রথম কথা হচ্ছে ইচ্ছা করলেই ছেড়ে দেওয়া যায় না এখন। সেটা আমরা জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রেও দেখেছি । দুই বছর তারা প্রায় নিষিদ্ধ। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও এবার দেখেছি। আমি মনে করি এমন কিছু তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। যেটা দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করতে পারে। তবে অপশন কি কি আছে। একটা অপশন ওদের সাথে আমার কথাটা বলতে হবে। এখানে দুটো জিনিস আছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে আমাদের মেয়াদটা কতদিন আছে। কারণ আইসিসি সবসময় চায় তাদের নির্বাচিত কমিটির পুর্ণ মেয়াদটা। আর একটা হচ্ছে আইসিসির মেয়াদ। আমার মনে হয় একটা হতে পারে আইসিসির মেয়াদটা শেষ হয়ে গেলে তখন একটা চিন্তা করে ওদের সাথে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের ডাইরেক্টর আছে তাদের মধ্যে থেকে একজন সভাপতি হবে। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d