পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ, মন্ত্রণালয়ের সভা বিকেলে
ঢাকা: তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সভার আয়োজন করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় শ্রম ভবনের ‘সম্প্রীতি’ সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সভায় মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ নিয়ে গত কিছুদিন ধরে চলছে অস্থিরতা। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার-২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা।
এমন পরিস্থিতিতে গত রোববার (২২ অক্টোবর) সেগুনবাগিচায় ন্যূনতম মজুরি বোর্ডে সরকার-মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা করার প্রস্তাব দেন শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধিরা। তবে মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন। যা শ্রমিকদের চাওয়ার অর্ধেক। তাই এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন শ্রমিকরা।
এরপর থেকেই রাজধানীর মিরপুর, গাজীপুর, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে শ্রমিক বিক্ষোভ। কোথাও কোথাও তা সংঘর্ষেও রূপ নিচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকাল থেকেও মিরপুরে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা। এমন পরিস্থিতিতে মালিকপক্ষ তাদের প্রস্তাবিত ন্যূনতম মজুরি আরেকটু বাড়াতে চান। তবে সেটা কতটুকু তা এখনো জানানো হয়নি।
এদিকে কাজ না করে শ্রমিকরা আন্দোলন করলে বা কারখানা ভাঙচুর করলে মজুরি না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মালিকরা। এমনকি কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তারা।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি আলোচনা সভায় শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় ‘কাজ নেই, মজুরি নেই’ সিদ্ধান্ত নেন তারা। আলোচনা সভাটি আয়োজন করে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইিএ। যেখানে প্রায় দুইশ কারখানা মালিক উপস্থিত ছিলেন। সভাশেষে বিজিএমইিএর সভাপতি ফারুক হাসান সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।