জাতীয়

পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবির সঙ্গে মালিকরাও একমত পোষণ করেছেন।

বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শিল্প মালিকদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন সালমান এফ রাহমান।এ সময় আন্দোলনের নামে দেশের তৈরি পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা।

এ দিনই মজুরি বোর্ডের সভাশেষে জানানো হয়, শ্রমিকদের দাবি আমলে নিয়েই বাড়ানো হবে তৈরি পোশাক শিল্পের সর্বনিম্ন মজুরি।
একদিকে সর্বনিম্ন মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলছে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অন্যদিকে অধিকার আদায়ে আন্দোলন-সংগ্রামের নামে পোশাক কারখানায় করা হচ্ছে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর, ছড়ানো হচ্ছে সহিংসতা। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত পোশাক খাতে সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণে ৫ম সভা শেষে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি জানান, তাদের দেওয়া প্রস্তাবনা- ১০ হাজার ৪০০ টাকার বেশি বেতন পাবেন শ্রমিকরা। যা কার্যকর হবে আগামী মাস থেকে।

এ দিন বিকেলেই পোশাক শিল্প মালিকদের সচিবালয়ে বৈঠকে ডাকেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বিজিএমইএ-বিকেএমইএ প্রেসিডেন্টসহ খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি।

দেশের প্রধান রপ্তানিমুখী শিল্পের বর্তমান অস্থির পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েক ঘণ্টার আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা নভেম্বর মাসের মধ্যে নুন্যতম মজুরির বিষয়ে নিয়ে নিবো। নভেম্বরের মধ্যে এটা হবে, ১ ডিসেম্বর এটা কার্যকর হবে। মালিকরাও মজুরি বৃদ্ধিতে রাজি হয়েছেন। তাদের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। নভেম্বর মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। জানুয়ারিতে নতুন স্কেলে মজুরি পাবে।

সালমান এফ রহমান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, শ্রমিকদের স্বার্থকে সামনে রেখেই বাড়ানো হবে তাদের বেতন। তবে, শিল্পকে যারা অস্থিতিশীল করেছে তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। যারা ভাঙচুর করেছে, ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগিয়েছে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d