প্রীতি ফুটবল ম্যাচে জিতেছেন চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা
খেলা শুরুর প্রথম কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মাজহারুল ইসলাম মিঠুন এক টানে ছুটে চললেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্স ভেদ করে। ডি-বক্সের বাইর থেকে কড়া শর্ট নিলেন চট্টগ্রাম এভারগ্রিনের গোলপোস্টে। ঝাঁপিয়ে পড়ে দলকে বিপদমুক্ত করলেন গোলকিপার ফারুক মুনির। ফলে এগিয়ে যাওয়া হলো না ঢাকার ক্রীড়া সাংবাদিকদের দল ঢাকা একাদশের। প্রীতি ফুটবল ম্যাচে জিতেছেন চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা
ফিরতি বলে একের পর এক আক্রমণ করে হ্যাট্রিক করলেন চট্টগ্রাম এভারগ্রিনের রনি সাজ্জাদ। ঢাকা একাদশ ৩-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও ৪-৩ গোলে এগিয়ে যায়। আবার চট্টগ্রাম বিভাগে ৫-৪ গোলে এগিয়ে যায়। এভাবে একবার ঢাকা একাদশ এগিয়ে থাকে আরেকবার চট্টগ্রাম এভারগ্রিন এগিয়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত ক্রীড়া সাংবাদিকদের সম্প্রীতি ম্যাচে ৮—৬ গোলের ব্যাবধানে ঢাকা একাদশকে হারিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম এভারগ্রিন।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ফরচ্যুন স্পোর্টস এরিনাতে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন জাতীয় দলের দুই তারকা ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ও মেহেদি হাসান মিরাজ। এসময় প্রীতি ম্যাচের স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ফরচ্যুন স্পোর্টস এরিনার ডিরেক্টর শাহাদাত বিন আশরাফ সাইমুন, সাজ্জাদ আলী মনি ও আব্দুর রহমান, এস টেক’র ডিরেক্টর তানভীর হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ও মেহেদি হাসান মিরাজ সাংবাদিকদের ক্রীড়া দক্ষতার প্রশংসা করে বলেন, সাংবাদিকরা পেশার পাশাপাশি এমন সুন্দর খেলতে পারেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। শরীর-মন সুস্থ রাখতে নিয়মিত খেলার অভ্যাস গড়তে তারা আহ্বান জানান।
খেলায় চট্টগ্রাম এভারগ্রিনের রনি সাজ্জাদ ৫টি গোল করে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ পুরস্কার জিতেন। টিমের পক্ষে ইকবাল দুটি এবং অধিনায়ক আজহার মাহমুদ অপর গোলটি করেন।
এভারগ্রিন দলে ছিলেন আজহার মাহমুদ (অধিনায়ক), সুমন গোস্বামী, ফারুক মুনির (গোল রক্ষক), মাসুমুল ইসলাম, রনি সাজ্জাদ, ইকবাল হোসেন, শাখাওয়াত হোসেন টিপু, শুভাশীষ ভট্টাচার্য ও সানাউল্লাহ।
ঢাকা একাদশের পক্ষে মাজহারুল ইসলাম মিঠুন ৩টি, সরোয়ার ২টি এবং মামুন অপর গোলটি করেন।
একাদশে ছিলেন মাজহারুল ইসলাম মিঠুন (অধিনায়ক), পিয়াল, বাপ্পী, একরাম, আশিক, মামুন, রাকিব, পলক ও এমিল।
খেলা শেষে ঢাকা একাদশের অধিনায়ক মাজহারুল ইসলাম মিঠুন এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য চট্টগ্রামের সাংবাদিক এবং ফরচ্যুন স্পোর্টস এরিনার পরিচালকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতেও এমন সম্প্রীতি ম্যাচ খেলার আশা ব্যক্ত করেন।