ফুটওভার ব্রিজ ‘মরণফাঁদ’
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ঝুঁকিপূর্ণ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় প্রায় দুর্ঘটনা ঘটতো। এ কারণে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের দাবি মেনে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসে।
এদিকে মাত্র এক দশকে সেই ফুটওভার ব্রিজটির নানা অংশে গর্ত ও ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে এটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ব্রিজে উঠলে ভেঙে পড়ার আতংকে রয়েছে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, উপজেলার ভাটিয়ারী বাজারের মাত্র কয়েক’শ গজের মধ্যে রয়েছে চার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এগুলো হল ভাটিয়ারীর বিজয় স্মরণী ডিগ্রি কলেজ, হাজী তোবারক আলী চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, ভাটিয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাজেদা আলম উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর চার হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। দীর্ঘদিন এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতো। ২০১২ সালে ভাটিয়ারী হাজী তোবারক আলী চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে কোটি টাকা ব্যয়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এতে শিক্ষার্থী-সাধারণ মানুষ ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার শুরু করে। এতে গত একদশকে দুর্ঘটনাও কমে আসে।
এদিকে প্রায় একবছর আগে থেকে এ ফুটওভার ব্রিজটি জরাজীর্ণ হওয়ায় নানা অংশে ফাটল ও গর্ত সৃষ্টি হয়। এ কারণে সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের ওই ব্রিজে না ওঠার নির্দেশনা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা।
সরেজমিনে সোমবার দুপুরে ভাটিয়ারী বাজার এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ফুটওভার ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক পার হয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে।
ভাটিয়ারী তোবারক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজু, মো. আলাউদ্দিন জানায়, অনেক দিন ধরে ফুটওভার ব্রিজ বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। আমরা বাধ্য হয়ে মহাসড়ক পার হচ্ছি।
ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ভাটিয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী হুমায়ন কবির।
ভাটিয়ারী তোবারক আলী চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কান্তি লাল আচার্য্য বলেন, ‘এক বছর ধরে ফুটওভার ব্রিজ জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। আমি অনেকবার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এটি সংস্কারের জন্য যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেয়নি।’
এ বিষয়ে এ ব্রিজের সংস্কারের দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপদ বিভাগের কার্যসহকারী মো. বেলাল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘দুয়েকদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’