চট্টগ্রামচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

বদলে যাচ্ছে চবির ১৪টি আবাসিক হল ও হোস্টেল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ১৪টি আবাসিক হল ও ১টি হোস্টেলের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন আবাসিক হল সোহরাওয়ার্দী হল। ১৯৭৪ সালে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ খ্যাত অবিভক্ত ভারতের মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নামানুসারে এ হলটির নামকরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে হল কর্তৃপক্ষ ঐতিহ্যবাহী সোহরাওয়ার্দী হলের আধুনিকায়নে নেয় নানা পদক্ষেপ।

সম্প্রতি সরেজমিনে সোহরাওয়ার্দী হল পরিদর্শনে দেখা যায়, হলের মূল ফটকে শোভা পাচ্ছে সুদৃশ্য এলইডি নামফলক। হলের অভ্যন্তরে ঢুকতেই দেখা গেল তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর রঙিন পাথরে নির্মিত আবক্ষ প্রতিকৃতি। তাতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ সোহরাওয়ার্দীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।

সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট ড. শিপক কৃষ্ণ দেব নাথ বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বাঙালির ইতিহাসে একটি উজ্জ্বলতম নাম। তাঁর স্মৃতি স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৯৭৪ সালে একটি হল নির্মাণ করে। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও হলে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর একটি প্রতিকৃতি নির্মিত হয়নি। সেই দায় থেকে একটি প্রতিকৃতি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করি।হলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে আরও দেখা গেল আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত হয়েছে সুপেয় ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা আর দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা।

হলটির আবাসিক শিক্ষার্থী তাহমিদুর রহমান বলেন, প্রভোস্ট হিসেবে ড. শিপক কৃষ্ণ স্যার দায়িত্ব নেওয়ার পর হলটির পরিবেশ বদলে যাচ্ছে। প্রভোস্ট স্যার প্রায় হলে আসেন। শিক্ষার্থীদের কথা বলেন, সমস্যা সম্পর্কে জানতে চান। স্যারের হাত ধরেই হলটিতে আধুনিকায়নের ছোঁয়া লেগেছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় ঐতিহাসিক এই হলটি নবাগত ছাত্রদের একটি আকর্ষণের বিষয় হয়। ভর্তিচ্ছুদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এই হলে অবস্থান গ্রহণ করে। তারা যাতে সহজেই সোহরাওয়ার্দী হল চিনে নিতে পারে এবং সময় দেখতে পারে সেজন্য হলের সম্মুখভাগে হলের নাম সম্বলিত ডিজিটাল সাইনবোর্ড ও ঘড়ি স্থাপন করা হয়েছে। রাতে এই সাইনবোর্ড এক অন্যরকম সৌন্দর্যের দ্যোতনা সৃষ্টি করে।

ড. শিপক কৃষ্ণ দেব নাথ বলেন, হলের আধুনিকায়নের অন্যতম সংযোজন হলো হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর প্রতিকৃতি স্থাপন। প্রতিকৃতির নিচে এই মহান নেতার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি সন্নিবেশিত হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদেরকে তাঁর সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। তিনি ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী হল আধুনিকায়নে সহযোগিতা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d