বর্তমান সরকার প্রত্যেক ধর্মের কল্যাণে কাজ করছে: বীর বাহাদুর
৩০০ নং আসনের সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, বর্তমান সরকার প্রত্যেক ধর্মের কল্যাণে কাজ করছে। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের কথা চিন্তা করেন এবং প্রত্যেক ধর্মের উন্নয়নে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের বাস্তবায়নে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে দুইটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে বালাঘাটা সার্বজনীন শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দির প্রাঙ্গণে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখতে গিয়ে ৩০০নং আসনের সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং এমন মন্তব্য করেন।
এ সময় এমপি আরও বলেন, ধর্ম হবে যার যার, দেশ হবে আমাদের সবার। ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা করে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে বসবাস করে বাংলাদেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে।
তিনি বলেন, একমাত্র বান্দরবান জেলাতেই ১২টি সম্প্রদায়ের বসবাস। আর বাঙালিদের পাশাপাশি আরও ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনগণ একসঙ্গে সম্প্রীতিতে মিলিত হয়ে বান্দরবানকে সম্প্রীতির জেলা হিসেবে পরিচিত করেছে। বর্তমান সরকার সমতলের মতো পার্বত্য এলাকায়ও বহু উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছে আর তার কারণে দুর্গম পার্বত্য জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়েও আজ মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, বিহারসহ অসংখ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ হচ্ছে। সব ধর্মের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান আর সম্প্রীতির সুরতানে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।
মতবিনিময় সভার আগে বীর বাহাদুর উশৈসিং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের বাস্তবায়নে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে বান্দরবান পৌর এলাকার বালাঘাটা হাজীপাড়া জামে মসজিদের অযুখানা ও ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে বালাঘাটা সার্বজনীন শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দিরের সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করেন।
এ সময় বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো.সামসুল ইসলাম, বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর ট্রাস্টি অমল কান্তি দাশ, কুহালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মংপু মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত,সমাজ সেবক তাপস কান্তি দাশ, বালাঘাটা সার্বজনীন শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দিরের সভাপতি প্রিয়তোষ চৌধুরীসহ উপস্থিত ছিলেন।