বহু দেশের চেয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীন : বিপ্লব বড়ুয়া
বহু দেশের চেয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে দৈনিক কালবেলার প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বর্তমানে সাংবাদিকরা অনেক বেশি স্বাধীন। বহু দেশের চেয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীন। এই সরকারের আমলে যেভাবে নতুন টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকা বের হয়েছে অন্য কোনো সরকারের আমলে তা হয়নি। সেটি পেছনের চিত্র দেখলেই বুঝা যায়। সাংবাদিকদের কল্যাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান মনে করছি। কেননা আমার জেলা শহর চট্টগ্রামে আমি প্রথমবারের মতো কোনো নতুন দৈনিক পত্রিকার বর্ষপূর্তিতে এসেছি। এজন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বর্তমানে আমরা কাগজের ভিড়ে হারিয়ে যাই। কোন কাগজের সংবাদ বস্তুনিষ্ঠ, কোন কাগজের সংবাদ বিশ্বাস করা যায়, সেটি নিয়ে আমরা পাঠকরা বিভ্রান্তিতে পড়ে যাই। কিন্তু কালবেলা এক বছরে সাংবাদিকতার যে রীতি, সেগুলো অনুসরণ করে পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। পাঠকের আস্থা অর্জন করেছে। একটি পত্রিকার এক বছরে এমন সফলতার জন্য এর সঙ্গে যারা যুক্ত তারা নিশ্চয়ই গর্ববোধ করতে পারেন।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া আরও বলেন, আমি যখন নব্বইয়ের দশকে সমরেশ মজুমদারের কালবেলা উপন্যাসটি পড়ি। সেই উপন্যাসের বিষয়বস্তু হচ্ছে মূল্যবোধ, নীতি, আদর্শ আর যেটি চিরন্তন সত্য সেটিকে ধারণ করা। আমি মনে করি কালবেলা সাংবাদিকতার রীতি, বস্তুনিষ্ঠতা, দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের যে রাজনীতি সেটিকে তারা তুলে ধরবেন, এমনটাই প্রত্যাশা করি। কালবেলা পরিবারের সকলের জন্য শুভকামনা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মুহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, বন্দরনগরী চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতিতে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যে পরিমাণ রাজস্ব আয় সরকারকে দিচ্ছে। সেই হিসেবে দেশের জাতীয় পত্রিকাগুলোতে চট্টগ্রাম অতোটা কাভারেজ পাচ্ছে না। আমরা যেভাবে আশা করি সেভাবে উপস্থাপন হচ্ছে না। এটি আরও বাড়ানো দরকার। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক দৈনিক, সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক পত্রিকাগুলোতে চট্টগ্রামকে আরও বেশি করে তুলে ধরা দরকার৷ আমরা যেভাবে আশা করি সেভাবে হচ্ছে না। চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন পিছিয়ে পড়ছে কাভারেজের ক্ষেত্রে। ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে আরও বেশি কাজ করা প্রয়োজন। অনেক সমস্যা, সম্ভবনা রয়েছে। সেগুলো তুলে ধরা হোক। তা না হলে নতুন খেলোয়াড় ওঠে আসবে না। গণমাধ্যমে ভালো প্রতিবেদন হলে তারা উৎসাহ পাবে। অনুপ্রাণিত হবে। আরও এগিয়ে যাবে।
প্রথম বর্ষপূর্তিতে দৈনিক কালবেলার সম্পাদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ও টীমের সদস্য, শুভানুধ্যায়ী সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিসি বলেন, কালবেলা দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পাঠকপ্রিয় হতে পেরেছে। আমরা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন স্মার্ট জেলার জন্য উদ্যোগগুলো নিয়েছি কালবেলা সেগুলো অত্যন্ত ভালোভাবে তুলে ধরেছে। এতে আমরা আরও অনুপ্রাণিত হয়েছি। কাজের গতি বেড়েছে। কালবেলার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ পটিয়ার সংসদ সদস্য শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পিয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহের হোসেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, বিএনপির নেতা মীর হেলাল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত রুবেল খান ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম প্রমুখ।