খেলা

বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিলো বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা

অচেনা কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের পরীক্ষা নিতে পারল না স্বাগতিক বাংলাদেশ। উল্টো ব্যাটিং ভরাডুবিতে টানা দুই হারে আগেই সিরিজ খুইয়েছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

আজ (বুধবার) হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে খেলতে নেমেও গল্পটা বদলালো না। প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসেই বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিলো অ্যালিসা হিলির দল।

তৃতীয় তথা সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে বোলারদের কল্যানে স্বাগতিক মেয়েদের অল্পতেই আটকে ফেলেছিল সফরকারীরা। একশ’র কম টার্গেট তাড়ায় টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট চালালেন অজি ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত দুটি উইকেটের পতন হলেও জয়টা এসেছে বড় ব্যবধানেই। ১৮৯ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

পুরুষদের মতো নারী ক্রিকেটেও প্রবল শক্তিধর অস্ট্রেলিয়া। এক দুই কিংবা তিন নয়, ওয়ানডেতে রেকর্ড ৭ আর টি-টোয়েন্টিতে ছয়বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অজি মেয়েরা। সেই চ্যাম্পিয়নরা প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে পা রাখে বাংলাদেশে। যে কারণে সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এই সিরিজ।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সিরিজটির মাহাত্ম্য অনেক। যে কারণে বিসিবির তরফেও আন্তরিকতার অন্ত ছিল না। ভালো কিছুর প্রত্যাশা ছিল স্বাগতিক দলের কাছ থেকেও। টাইগ্রেসদের সাম্প্রতিক ফর্মটাও কথা বলছিল তাদের হয়ে। যদিও মাঠের ক্রিকেটে বাংলাদেশকে ‘বাস্তবতা’ দেখাল অজি মেয়েরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। ৫০ ওভারের ম্যাচে অজি বোলারদের তোপে মোটে ২৬ দশমিক ২ ওভার টিকেছিল টিম টাইগ্রেসের ইনিংস। সবকটি উইকেট হারিয়ে ৮৯ রানে অলআউট হয় তারা। এ নিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে কোনোটিতেই দলীয় রান একশ ছাড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা।

মামুলি টার্গেট তাড়ায় টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট চালিয়েছেন অজি ব্যাটাররা। দলীয় ৪৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। সুলতানার শিকার হওয়ার আগে ২৭ বলে ১২ রান করেছেন ফোব লিচফোর্ড। অন্যদিকে, রাবেয়া খানের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ার আগে অধিনায়ক অ্যালিসা হিলির ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৩৩ রান।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর এলিস পেরি ও বেথ মুনি আর কোনো উইকেট পড়তে দিলেন না। দুজনের ব্যাটে ভর করে মাত্র ১৮ দশমিক ৩ ওভারেই জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ২৮ বলে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন পেরি আর ২২ বলে ২১ করেন বেথ মুনি। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন সুলতানা ও রাবেয়া খান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সোবহানা মোস্তারির বদলে একাদশে জায়গা পাওয়া সুমাইয়া আক্তার শূন্য রানে ফেরেন। এরপর দলীয় ৮ রানে আরেক ওপেনার ফারজানা হক বিদায় নিলেন।

স্কোরবোর্ডে ৩২ রান যোগ করতেই টপঅর্ডারে মড়ক লাগে স্বাগতিকদের। দুই ওপেনারের ব্যর্থতার পর আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন মুর্শিদা, রিতু মনি ও ফাহিমা খাতুনরাও। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি হাল ধরার চেষ্টা চালালেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে মান বাঁচানোর চেষ্টা করে গেছেন বোলাররা। ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটিটা আসে দুই টেলএন্ডার ব্যাটারের কাছ থেকে। দশম উইকেটে মারুফা আক্তার ও সুলতানা খাতুনের জুটিতে ২২ বলে ২৬ রানের সুবাদে দলীয় সংগ্রহ ৮৯ রানে গিয়ে থামে।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬ রান এসেছে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাট থেকে। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন কেবল চারজন। টাইগ্রেস পেসার মারুফা আক্তার অপরাজিত থাকেন ১৫ রানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d