বাংলাদেশ-বাহরাইন কূটনৈতিক সম্পর্কের সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
বাংলাদেশ-বাহরাইন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং মানামা। সোমবার (৩ জুন) বাহরাইনের পাঁচতারকা ডিপ্লোমেটিক এরিয়া হোটেল ডিপ্লোম্যাট রেডিসন ব্লুতে এ সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হয়।
একইসাথে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫৩তম বার্ষিকীও উদযাপন করা হয় এদিন। মার্চ মাসে পবিত্র রমজান মাস থাকায় দিবসটি তখন উদযাপন করা হয়নি।
চার্জ দ্য এফেয়ার্স একেএম মহিউদ্দিন কায়েসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাহরাইন কাউন্সিল অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার আহমেদ বিন সালমান আল-মুসালাম, বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ফর পলিটিক্যাল এফেয়ার্স ড. শেখ আব্দুলাহ বিন আহমেদ বিন আব্দুল্লাহ আল খালিফা, নর্দান গভর্নর আলী বিন আল শেখ আব্দুল হুসাইন আল-আসফুর ও জনপ্রশাসন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাইখা রানা বিনতে ঈসা বিন দাইজ আল খালিফা।
এছাড়াও শুরা কাউন্সিল এবং কাউন্সিল অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্যবৃন্দ, বাহরাইনস্থ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকবর্গ, বাহরাইন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পেশার লোকজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দু’দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। কূটনৈতিক সর্ম্পকের সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাহরাইন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে যৌথভাবে স্মারক লোগো উন্মোচন ও বিশেষ প্রকাশনা এবং কেক কাটা।
যৌথভাবে প্রকাশিত এই ম্যাগাজিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব এবং বাহরাইনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাণী পাঠান। ম্যাগাজিনে কূটনৈতিক সর্ম্পকের ৫০ বছরের উপর দূতাবাস এবং দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত আর্টিকেলসহ উভয় দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, পর্যটন, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং দূতাবাসের কার্যক্রম বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
চার্জ দ্য এফেয়ার্স একেএম মহিউদ্দিন কায়েস তার স্বাগত বক্তব্যে বাহরাইনের রাজা হামাদ বিন ঈসা আল খালিফা এবং ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী শেখ সালমান বিন হামাদ আল খালিফার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই বাংলাদেশ এবং বাহরাইনের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। এ প্রেক্ষিতে তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ভ্রাতৃপ্রতীম বাহরাইনের সর্বোপরি সহযোগিতা কামনা করেন। একইভাবে তিনি বাহরাইনের অর্থনৈতিক ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়িত করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
চার্জ দ্য এফেয়ার্স তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মধ্যকার দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন এবং দুই দেশের ঐতিহাসিক মিল রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সাথে দুটি দেশেরই জন্ম হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর দু’দেশের কাছে সমানভাবে গুরত্বপূর্ণ । এছাড়া বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দু’দেশ অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। তিনি ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ, সৌহার্দ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সার্বিক কল্যাণকর কাজ আরও সুসংহত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।