বান্দরবানের তিন উপজেলায় ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ, চরমে গ্রাহক দুর্ভোগ
সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে কৃষি ও সোনালী ব্যাংক। সেই সাথে জেলা সদরের প্রতিটি ব্যাংক এবং এটিএম বুথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে এ তিনটি উপজেলার ব্যাংকগুলোর ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ভল্টে থাকা নগদ টাকা জেলা সদরে নিয়ে আসা হয়েছে। এদিকে ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ঈদের এই সময়ে গ্রাহকদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বন্ধ থাকা তিনটি উপজেলার ব্যাংকগুলোর গ্রাহকরা জেলা সদরের সোনালী ব্যাংকে এসে লেনদেন করতে পারবে। এছাড়া লামা-আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এদিকে ঘটনার তিনদিন পরেও খোঁজ মেলেনি রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনের। তাকে উদ্ধারে নিরাপত্তা বাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে। এছাড়া বান্দরবানের রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে সেনাবাহিনী বিজিবি ও পুলিশ টহল দিচ্ছে। জেলা সদর থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এপিবিএন সদস্যদের। রুমা ও থানচি উপজেলায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা পরিদর্শন করছেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে কুকিচির ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে থানা দিয়ে পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে নিয়ে যায়। এসময় রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনকে। এছাড়া বুধবার থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে পুনরায় হামলা চালিয়ে প্রায় ১৮ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর সেখানে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বান্দরবান সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম ইনচার্জ মোহাম্মদ ওসমান গণি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনটি উপজেলায় আগের মত ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।