ব্যবসায়ীকে মারধরের মামলায় আরও এক আসামি কারাগারে
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পেছনের ধানক্ষেতে আহমেদ হোসেন সোহেল নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধরের মামলায় মো. মোরশেদ নামে আরও এক আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
২৫ এপ্রিল চট্টগ্রামের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শহিদুল ইসলাম আদালত এই আদেশ দেন। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল একই মামলার আসামি উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান মুরাদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
গ্রেপ্তার মো. মোরশেদ হাটহাজারী থানার চিকনদন্ডী ১ নম্বর ওয়ার্ড ধোপা দীঘির পাড় আকমল মিয়াজির বাড়ির মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। গত ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুনের আদালত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু সায়েম মোহাম্মদ নাসিম উদ্দীন বলেন, ‘হত্যার উদ্দেশে গুরুতর আঘাত করার ঘটনায় ব্যবসায়ী আহমেদ হোসেন সোহেল হাটহাজারী থানায় দায়ের করা মামলায় মো. মোরশেদ হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। হাইকোর্ট ৩ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু ৩ সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরও আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় গত ২৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ারা জারি করেছিল। বৃহস্পতিবার (আজ) আসামি মো. মোরশেদ আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
আদালত সূত্রে জানা যায়, আহমেদ হোসেন সোহেল হাটহাজারীর উত্তর ফতেয়াবাদ দক্ষিণ পাহাড়তলী নন্দীরহাট এলাকার হাজী মো. মুছার ছেলে। তিনি ওই এলাকায় ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আগে ব্যবসা নিয়ে অভিযুক্ত হাসানের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে গত ২৯ অক্টোবর রাতে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চট্টগ্রাম আদালতে অভিযুক্ত হাসানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী সোহেল। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে চার আসামির বিরুদ্ধে ১৫ নভেম্বর হাটহাজারী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়। বর্তমানে মামলাটি চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।