জাতীয়

ভুটানে বাংলাদেশি পাটজাত পণ্য প্রদর্শনীকেন্দ্র উদ্বোধন

ভুটানে অবস্থিতি বাংলাদেশ দূতাবাস থিম্পুতে বাংলাদেশি পাটজাত পণ্যের প্রদর্শনীকেন্দ্র স্থাপিত করেছে। এর লক্ষ্য, দেশটিতে বাংলাদেশি পাটজাত পণ্য ছড়িয়ে দেওয়া।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) থিম্পুর বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, থিম্পুতে একটি আড়ম্বরপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাটজাত পণ্যের প্রদর্শনী সেন্টার উদ্বোধন করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাসো শেরিন তোবগে এবং বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক সম্পদবিষয়ক মন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব, প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ক সচিবসহ ভুটান সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ভুটান চেম্বার অব কমার্সের নেতাদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক ভুটানি ব্যবসায়ী, আমদানিকারক এবং কারুশিল্প ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিন তোবগে বলেন, পরিবেশ রক্ষায় দুদেশের যৌথ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে থিম্পুতে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যের প্রদর্শনীকেন্দ্র স্থাপিত হলো। এটি শুধু পরিবেশ রক্ষায় নয় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশি পরিবেশ বান্ধব এবং বায়ো ডিগ্রেডেবল পাটপণ্য ভুটানসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে পৃথিবীর পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের অঙ্গীকার পূরণের পথে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সে লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো বিদেশে আমাদের পাটজাত পণ্যের প্রদর্শনীকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে ভুটান-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হলো।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায়। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব পাটজাত পণ্য বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান বাস্তবায়ন করতে আমরা থিম্পুতে এ কেন্দ্র স্থাপন করেছি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি পাটজাত পণ্যের ওপর বিশেষ প্রেজেন্টেশন দেন দূতাবাসের কাউন্সেলর সুজন দেবনাথ। তিনি পাটজাত পণ্যের ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা এবং এ শিল্পে বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরেন।

উদ্বোধন শেষে ভুটানের নেতা-ব্যবসায়ীরা প্রদর্শনী কেন্দ্র এবং বাংলাদেশি পাটজাত পণ্য ঘুরে দেখেন। তারা বাংলাদেশের পাট থেকে উৎপন্ন বহুমুখী পণ্য যেমন-ব্যাগ, জুতা, কার্পেট, টিস্যুবক্স, কিচেন আইটেম, পোশাক, অফিস ফাইল, কনফারেন্স ফাইল এবং গৃহসজ্জার বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী দেখে অভিভূত হন। অচিরেই ভুটানে বাংলাদেশি পাটজাত পণ্যের একটি স্থায়ী বাজার গড়ে উঠবে বলে তারা মত দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d