দেশজুড়ে

মনোহরগঞ্জে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জেরে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও অপর আট আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোছা. মরিয়ম মুন মুঞ্জুরী এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ১৮ জনের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আটজন কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন কুমিল্লা মনোহরগঞ্জের দক্ষিণ বাতাবাড়িয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের তিন ছেলে মো. রিয়াদ হোসেন (২৯), মীর হোসেন (৩৭), আনোয়ার হোসেন (৪১), সামছুল হক পাটোয়ারীর দুই ছেলে মো. ইউসুফ (৩৬), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৫), ছালেহ আহম্মদের ছেলে মিসু (২২), শহীদ উল্লাহ মেম্বারের ছেলে মো. রাজন (৩১), তাজুল ইসলামের ছেলে মানিক মিয়া (৩১) ও আবুল হোসেনের ছেলে মো. মিজানুর রহমান (২৪) ও মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে মো. রাশেদ (২২)।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন তাজুল ইসলামের ছেলে নোমান (২৩), সিরাজুল ইসলামের ছেলে সালাহ উদ্দিন (৪১), হাজী আ. সামাদের ছেলে আবুল কাশেম পিচ্চি কাশেম (৪২), মৌরভী আরী আকবরের ছেলে মো. শহীদউল্লা মেম্বার (৫৫), নূর আহম্মদের দুই ছেলে মো. সালেহ আহম্মদ (৩২) ও মো. সোহাগ (২৬), মৃত সফিকুর রহমানের ছেলে মো. স্বপন (৩৫), মৃত মন্তাজুর রহমানের ছেলে মো. টিপু (৩৫)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৩ মে সকাল ৯টায় সময় পূর্বশত্রুতার বিরোধের জের ধরে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে জেলার মনোহরগঞ্জে দক্ষিণ বাতাবাড়িয়ার যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের বসতবাড়িতে হামলা চালায় এবং চাপাতি ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীর আলমের ভাই মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে মনোহরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনোহরগঞ্জ থানার এসআই মো. নাছির উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৮ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর মামলাটি চার্জ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ১২ জন সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মোবারক হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d