চট্টগ্রাম

মানবাধিকার দিবসে ইপসা-দৃষ্টির বিতর্ক প্রতিযোগিতা

চট্টগ্রাম: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে ইপসা-দৃষ্টির বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা পরবর্তী বিশ্বে ক্রমবর্ধমান দারির্দ্যের বৃদ্ধির ফলে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা দিনদিন বেড়ে চলছে। শিশুশ্রমের মূলে রয়েছে দারির্দ্যতা।

শিশুশ্রম বন্ধ করতে হলে প্রথমে দারির্দ্যকে নিরসন করতে হবে। তাই শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে সচেতনতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সক্রিয় করার লক্ষে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে বিশেষ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরের অভিজাত একটি রেস্টুরেন্টের মিলনায়তন ছায়া জাতিসংঘ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় । এতে চট্টগ্রামের ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিকাষার্থীরা অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ভারত, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

ছায়া সাধারণ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ পরিচালক ও প্রাক্তন বিতার্কিক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া। এই অধিবেশনে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের যুগ্ম সম্পাদক ও প্রাক্তন বিতার্কিক কাজী আরাফাত ও উপ- মহাসচিব ছিলেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া ইসলাম। ছায়া অধিবেশনে পর্যবেক্ষক ছিলেন দৈনিক আজাদীর সহ সম্পাদক রেজাউল করিম, বির্তাকিক আফসানা তমা, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুদ্দিন মুন্না ও প্রাক্তন বিতার্কিক রায়হান শাকিল।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, যে জায়গায় বড়দের কাজ করা কঠিন সে জায়গায় শিশুরা কাজ করছে। এটা আরো ঝুকিপূর্ণ। মনে হয় বাংলাদেশে জীবনের দাম একদম সস্তা। আমরা শিশুশ্রম মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশর স্বপ্ন দেখি। শিশুশ্রম মুক্ত দেশ গড়তে পারলে আমরা সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত হব। এটি গড়তে হলে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে শিশুশ্রম কমে যাবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইপসার সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী শাহিন বলেন, প্রত্যেক শিশুর মধ্যে লুকিয়ে আছে আগামীর স্বপ্ন। শিক্ষিত জাতি গঠনে বাধা হয়ে দাড়ায় শিশুশ্রম। বর্তমানে দারির্দ্যতার কারণে শিশুশ্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে। চট্টগ্রামের গত ৯ বছরে ৫% শিশুশ্রম বেড়ে গেছে। দেশে এখন বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত রয়েছে ১০ লাখ ৬৮ হাজার শিশু শ্রমিক। যার মধ্যে ৬ লাখ ৫২ হাজার শিশু কাজ করছেন বিভিন্ন শিল্প কারখানায়। বিবিএসের তথ্যমতে, ২০১৩ সালে ঝুঁকিহীন পেশায় যুক্ত ছিল ৪ লাখ ১৮ হাজার শিশু। তবে ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭ হাজারে। অর্থাৎ এক দশকে বৃদ্ধির হার ৬৯ শতাংশ। বিশেষ করে ঝুকিপূর্ণ সেক্টরে শিশুশ্রমিক বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশু শ্রম থেকে শিশুদের মুক্ত করতে ইপসা কাজ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d