মামলা থেকে বাদ দিতে দুই লাখ টাকা দাবি, কৃষকদল নেতাকে শোকজ
কথিত হত্যা ও অস্ত্র মামলা থেকে নাম বাদ দিতে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে কৃষকদল নেতার বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত একটি কথোপকথনের মোবাইল কল রেকর্ডিং স্থানীয়ভাবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ছে।
অভিযুক্তের নাম জসিম চৌধুরী। তিনি রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য সচিব। চাঁদা দাবি করা হয় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক জহির উদ্দিন লিটনের কাছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জসিমকে কারণ দর্শানো (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রায়পুর উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক কাউসার মোল্লা।
তিনি বলেন, দুদিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য জসিমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির আলোকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের ওই অডিওতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটনকে উদ্দেশ্য করে কৃষকদল নেতা জসিমকে বলতে শোনা যায়, সবুজ ভূঁইয়া বাদী হয়ে হত্যা ও অস্ত্র মামলা জমা দিয়েছে। তবে পুরো ডিলিংস, ব্যাকআপ দিবে লক্ষ্মীপুরের নেতারা। মামলা সাবমিট করা হয়েছে। সকাল পর্যন্ত সময় আছে। ওই মামলায় সালাহ উদ্দিন টিপু ১ নম্বর আসামি, আপনি ২৮ নম্বরে আছেন। টেনশন করিয়েন না। আপনার নাম আমি স্পেশালি বলছি, সে (বাদী) বলছে কম নেই। ২ এর নিচে কম নেই, আড়াই বলছে আমাকে। এটাই শেষ কথা। আর কোনো রাস্তা খোলা পাবেন না।
একপর্যায়ে জসিম বলেন, আপনি আমার জমি একটু বিক্রি করে দেন। আপনি আমার ভাই। জমি বিক্রির টাকা দিয়ে সারেন। সকাল ৮টায় পর্যন্ত সময় আছে।
জসিমের বাড়ি রায়পুর উপজেলার বামনীর কলাকোপা গ্রামে। লিটনের বাড়ি সদর উপজেলার উত্তর হামছাদীর চৌধুরী বাজার এলাকায়।
তবে কৃষকদল নেতা জসিম চৌধুরী দাবি করেন, অডিওটি এডিট করা। তিনি দলের নেতাদের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি লিটনের কাছে চাঁদা চাননি। তবে শোকজ নোটিশ পেয়েছেন এবং সেটির জবাব দিবেন বলে জানিয়েছেন।
স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জহির উদ্দিন লিটন বলেন, আমি কোনো অপকর্ম করিনি। জসিম ফোন করে হত্যা ও অস্ত্র মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার অজুহাত দেখিয়ে আমার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেছে। এক পর্যায়ে সে বলেছে, প্রয়োজনে জমি বিক্রি করে আমি টাকা নিয়ে তাকে দিতাম।
জানতে চাইলে রায়পুর উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক কাউসার মোল্লা বলেন, অডিও শোনার পর জসিমকে শোকজ করা হয়েছে।