মিরপুরে পোশাক শ্রমিকেরা কারখানা বন্ধ পেয়ে জড়ো হয়েছে
ঢাকা: রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বরে বন্ধ থাকা পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সড়কের পাশে জড়ো হয়েছিল। তবে তারা সড়ক অবরোধ করেননি।
সড়কের পাশে প্রায় ৩০ মিনিট অবস্থান করে সেখান থেকে সরে যান তারা। বর্তমানে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে অবস্থান করছে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৮ দিকে রাজধানীর মিরপুর-১৩ নম্বারে পুলিশ কনভেনশন হল সংলগ্ন সড়কের পাশে জড়ো হয় বেশ কিছুসংখ্যক পোশাকশ্রমিকেরা। পরে তারা সকাল সাড় ৮ টার দিকে সেখান থেকে সরে যায়।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, গত কয়েক দিন শ্রমিকদের আন্দোলনে এখানকার কয়েকটি কারখানা বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিনের মতো ওই বন্ধ কারখানাগুলোর শ্রমিক কাজে যোগ দিতে এসেছিল। কাজে যোগ দিতে না পেরে এসব শ্রমিক সকাল আটটার দিকে মিরপুর-১৩ এর সড়কের পাশে জড়ো হয়। প্রায় ৩০ মিনিট অবস্থান করে তারা চলে যায়। সড়কে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা অবস্থান করছে। এখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা বা সড়ক অবরোধের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক পোশাকশ্রমিক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যখন গতকাল সড়কে নেমে ছিলাম তখন আমাদের ওপর হামলা হয়েছিল। তখন আপনারা কোথায় ছিলেন ?
কেন আপনারা রাস্তায় জড়ো হয়েছেন জানতে চাইলে আন্দোলনরত শ্রমিকরা বলেন, আমরা পেটের দায়ে নেমেছি।আমরা ২৩ হাজার টাকা বেতন দাবি করছি। তারা কেন মানবে না? এখন চালের কেজি ৮০ টাকা। দশ হাজার টাকা দিয়ে কি হয়? রুম ভাড়ায় চলে যায় বেতনের ৬ হাজার টাকা। বাকি ৪ হাজার টাকা দিয়ে কি হয়?
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিদিনের মতোই পোশাকশ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এসেছিল। তবে গত কয়েক দিনের আন্দোলনের কারণে মালিকরা কারখানা বন্ধ রেখেছেন। ১৩.১ এর ধারা অনুযায়ী, কাজ নাই ,তো টাকা নাই, সেই অনুযায়ী এই এলাকার কিছু কারখানা মালিকরা কারখানা বন্ধ রেখেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, শ্রমিকরা সকাল আটটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত তাদের কর্মরত কারখানার সড়কের সামনে ছিল। তবে তারা এখন সেখান থেকে সরে গিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সড়কের পাশে অবস্থান করছে। সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেখছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।