মির্জা ফখরুলের মুক্তি দাবি বামজোটের
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেফতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করেছে সিপিবি-বাসদসহ বাম গণতান্ত্রিক জোটভুক্ত দলগুলো। একইসঙ্গে ঢাকায় বিএনপি অফিসকে ‘ক্রাইম সিন এলাকা’ ঘোষণা দিয়ে ঘিরে রাখার প্রতিবাদও জানিয়েছে বামপন্থী দলগুলোর এ জোট।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর সিনেমা প্যালেস চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বাম নেতারা এ দাবি জানান।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং আওয়ামীলীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশ হয়েছে।
সমাবেশে বাম জোটের নেতারা বলেন, ‘২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলা, পুলিশ হত্যা, সাংবাদিক ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলার ঘটনা আমরা দেখেছি। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এসব ঘটনায় জড়িত প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এসব ঘটনাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন শুরু করেছে।’
‘ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের বাসভবন ঘিরে রাখা হচ্ছে। ঢাকায় বিএনপি অফিসকে ক্রাইমি সিন ইউনিট ঘোষণা করে পুলিশ ঘিরে রেখেছে। এসব তৎপরতাকে আমরা গণবিরোধী ও চরম ন্যাক্কারজনক বলে মনে করি। আওয়ামী লীগ সমস্ত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি-রীতিনীতিকে পদদলিত করে বাংলাদেশকে একটি পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
বাম নেতারা আরও বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করছি। মামলা-হামলার মধ্য দিয়ে হয়রানি বন্ধের দাবি করছি। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক ও বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সদস্য সচিব শফি উদ্দিন কবির আবিদের সভাপতিত্বে এবং জেলা বাসদের সদস্য আকরাম হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন- জেলা সিপিবির সভাপতি অশোক সাহা, বাসদ জেলা ইনচার্জ আল কাদেরি জয় ও জেলা বাসদ’র (মার্কসবাদী) সদস্য জাহেদুন্নবী কনক।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।