যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে বাইডেন-ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে সফর করেন। বাইডেন একটি দ্বিদলীয় অভিবাসন প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করতে কংগ্রেসকে আহ্বান জানিয়েছেন। এই প্রস্তাব সিনেটে পাশ হয়নি। এদিকে, ট্রাম্প জোর দিচ্ছেন অভিবাসন প্রত্যাশীদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের দিকে।
অনুমোদন ছাড়াই প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার অভিবাসন-প্রত্যাশী যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে, তাই মনে করা হচ্ছে নভেম্বরে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হতে চলেছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার
বাইডেন টেক্সাসের ব্রাউন্সভিলেতে গিয়েছিলেন। এই অঞ্চল দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে অভিবাসন-প্রত্যাশীরা, তবে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে অনুপ্রবেশ ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
সীমান্ত-পরিস্থিতি বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা, নাগরিকত্ব ও অভিবাসন বিভাগ এবং অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ বিভাগ। তারপর তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে সংক্ষিপ্ত মন্তব্য রাখেন।
বাইডেন বলেন, ‘তাদের একান্তভাবে আরও সংস্থান দরকার। দ্বিদলীয় সীমান্ত নিরাপত্তা চুক্তি আমেরিকার জনগণের জন্য একটা জয় এবং টেক্সাসের মানুষের জন্য এটা একটা জয়। যারা বৈধভাবে এখানে এসে জীবন শুরু করতে চায় তাদের জন্য এটা ন্যায়সঙ্গত ব্যাপার।
বাইডেন চান, কংগ্রেস সীমান্ত এজেন্ট ও আশ্রয় বিষয়ক কর্মকর্তাদের জন্য আরও অর্থ অনুমোদন করুক। কংগ্রেস যদি সক্রিয় না হয় তাহলে সীমান্ত বন্ধ করার জন্য আরও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করতে তিনি নির্বাহী নির্দেশে স্বাক্ষর করতে পারেন।
বাইডেন বলেন, এই ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করার পরিবর্তে আমরা কেন সবাই একত্রিত হয়ে এটা মীমাংসা করে ফেলছি না?…আমরা আমেরিকার জনগণের জন্য কাজ করি, ডেমোক্রেটিক দল বা রিপাবলিকান দলের জন্য নয়। আমরা আমেরিকার জনগণের জন্য কাজ করি।
ট্রাম্প প্রায় ৫০০ কিলোমিটার (৩১১ মাইল) দূরে টেক্সাসের ঈগল পাস পরিদর্শন করেন। টেক্সাসের রিপাবলিকান গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট রিও গ্রান্দে পার হয়ে আসা অভিবাসীদের আগমন রুখতে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন।
ট্রাম্প তার আমলে যে সব কঠোর অভিবাসন নীতি নিয়েছিলেন তা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘বাইডেনের অভিবাসী সংক্রান্ত অপরাধে যুক্তরাষ্ট্র দখল হয়ে যাচ্ছে।’
অস্টিনে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সাস রাজনীতি প্রকল্পের গবেষণা পরিচালক জোশুয়া ব্ল্যাঙ্ক বলেন, অভিবাসনকে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত করা বিভ্রান্তিকর।
বছরের পর বছর ধরে অভিবাসন নীতি এমন একটা ইস্যু যা নিয়ে ওয়াশিংটনের আইনপ্রণেতারা বিতর্ক করেছেন, কিন্তু কোনও সমাধানে পৌঁছতে পারেননি।